মহালয়ার ভোর চারটে মানেই বাংলার অধিকাংশ বাড়িতেই বেজে উঠবে ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির…’। আধো ঘুমে হলেও রেডিয়ো চালিয়ে দেওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু জানেন কি বাঙালির আবেগ, মহালয়ার ভোরের সঙ্গে যে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ জড়িয়ে রয়েছে সেটি আজকের আকাশবাণী ভবনে মোটেই রেকর্ড করা হয়নি। তা হলে কোথায়? চলুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
‘মহিষাসুরমর্দিনী’র জন্ম হয় মধ্য কলকাতার ১ নম্বর গার্স্টিন প্লেসে। এখানেই ১৯৩৭ সালে প্রথম বারের জন্য মহালয়ার ভোরে বেজে ওঠে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যদিও এর আগে একাধিক বার এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে, তবে সেটা ষষ্ঠীর দিন হয়েছে। কখনও ‘মহিষাসুর বধ’ নামে, তো কখনও আবার ‘শারদীয় বন্দনা’র নামে। ১৯৩৭ থেকে ২০ বছর টানা এখান থেকেই সম্প্রচার হতো এই প্রভাতী অনুষ্ঠান। সেই সময় লাইভ হত গোটা অনুষ্ঠান। ৩ মাস ধরে চলত মহড়া। প্রতি বছরই এক ঘেয়েমি কাটাতে স্ক্রিপ্টে কিছু না কিছু বদল আনাই হতো। তবে ১৯৬২ সাল থেকে এই লাইভ অনুষ্ঠান বন্ধ হয়। বাজানো শুরু হয় রেকর্ডেড অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:
মাঝে ১৯৫৮ সালে আজকের আকাশবাণী ভবন অর্থাৎ যেটা ইডেন গার্ডেনসের পাশে অবস্থিত সেখানে গোটা ব্যবস্থাপনা উঠে আসে। অন্য দিকে বর্তমানে আর কোনও অস্তিত্ব নেই সেই ১ নম্বর গার্স্টিন প্লেসের। সেটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। চিরতরে হারিয়ে গিয়েছে কলকাতার একটি হেরিটেজ ভবন, ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র জন্মস্থান। সেখানে গেলে আজ নজরে পড়ে আধুনিক বহুতল।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।