Chinese Kali Temple of Tangra Where Goddess is Offered chowmein And Sticky Rice During Kali Puja dgtl
Chinese Kali Mandir
কালীও এখানে চাইনিজ-প্রেমী! পুজোর ভোগে চাউমিন, স্টিকি রাইসে তৃপ্ত দেবী
শহর জুড়ে আলো। আর ট্যাংরার গলিতে মিশে যাচ্ছে চাইনিজ খাবারের সুবাস। দেবী কালীও যেন এখানে খান চাউমিন!
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১২
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১২
এখানকার দেবী খেতে ভালবাসেন চাইনিজ ভোগ— চাউমিন, স্টিকি রাইস, সবজি! হ্যাঁ, এটাই ট্যাংরার বিখ্যাত ‘চাইনিজ কালী মন্দির’-এর বিশেষত্ব।
০২১২
কলকাতার চায়না টাউন, অর্থাৎ ট্যাংরা। এখানেই হিন্দু আর চিনা সংস্কৃতির আশ্চর্য এক মিলনক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।
০৩১২
১৮০০ সালের পর থেকে চিনা সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রথম এই শহরে আসতে শুরু করেন। টেরিটি বাজার পেরিয়ে তারা বসতি গড়েন ট্যাংরা অঞ্চলে, যেখানে একটা সময়ে চামড়ার ব্যবসা জমে উঠেছিল।
০৪১২
কালের নিয়মে অনেকে ফিরে গেলেও, যাঁরা এই শহরকে ভালবেসে থেকে গেলেন, তাঁদের হাত ধরেই চাউমিন মিশে গেল বাঙালির হেঁশেলে। আর সেই ভালবাসারই এক নিদর্শন এই কালী মন্দির।
০৫১২
প্রায় ষাট-সত্তর বছর আগে এই মন্দির ছিল একটি গাছের তলায় সিঁদুর মাখানো কালো পাথর।
০৬১২
স্থানীয়দের বিশ্বাস, এক সময়ে এক চিনা শিশুর কঠিন অসুখ কোনও চিকিৎসাতেই সারছিল না। তার বাবা-মা তখন সেই পাথরের কাছেই মন থেকে প্রার্থনা জানান।
০৭১২
আর এর পরেই ঘটে যায় অলৌকিক এক ঘটনা— সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি! ভক্তি আর কৃতজ্ঞতা থেকে সেই পরিবার এবং স্থানীয় চিনা মানুষেরা মিলে তৈরি করেন এই মন্দির।
০৮১২
বর্তমানে এখানকার দেবীর সেবায় শুধু বাঙালি পুরোহিতই নন, চিনা বংশোদ্ভূতরাও যুক্ত। পুজো হয় হিন্দু রীতিতেই, কিন্তু সঙ্গে যোগ হয় চিনা সংস্কৃতির ছোঁয়া। চন্দনের গন্ধে, ধূপের ধোঁয়ায়, কাগজ পোড়ানোর আচার মিলে তৈরি হয় এক অদ্ভুত সমন্বয়।
০৯১২
অশুভ আত্মাকে তাড়াতে হাতে তৈরি কাগজ পোড়ানো হয় আর দীপাবলির রাতে জ্বলে লম্বা চিনা ধূপকাঠি।
১০১২
সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এই মন্দিরের প্রসাদ।
১১১২
ফল, মিষ্টির পাশাপাশি এখানে দেবীকে নিবেদন করা হয় চাউমিন, চপসুই ও সবজি দিয়ে তৈরি অন্যান্য চিনা খাবার।
১২১২
হিন্দু-চিনা ঐতিহ্যের এই অপূর্ব মিলনক্ষেত্র আর তার রসবোধে ভরা ইতিহাস জানতে, এক বার ঘুরে আসতেই পারেন এই মন্দির থেকে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।