এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষ– এই ১৫ দিনে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করার প্রথা বহু কাল আগে থেকেই প্রচলিত।
০২১০
বিশ্বাস করা হয়, এই সময়ে মৃত পূর্বপুরুষেরা পৃথিবীতে ফিরে আসেন। তাঁদের তুষ্ট করলে তাঁদের আত্মা শান্তি পায়।
০৩১০
এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই ৩৯তম বর্ষে দুর্গামণ্ডপ সেজে উঠেছে নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘে। শিল্পী রিন্টু দাসের ভাবনায় তাদের এই বছরের থিম ‘তর্পণ’।
০৪১০
মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় এক বার চোখ বোলালেই নজরে পড়বে কোথাও পিতৃপক্ষ, দেবীপক্ষের প্রতিচ্ছবি, আবার কোথাও কোষাকুষি থেকে চুঁইয়ে পড়ছে জল।
০৫১০
মণ্ডপসজ্জার সঙ্গে জড়িত বিরাজন কর্মকার আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “অজস্র কোষাকুষি থেকে জল পড়বে। একটি শঙ্খের মধ্য দিয়ে আলো ফেলা ফেলা হবে। আবার স্বর্গের ঘুরন্ত সিঁড়িও স্থাপন করা হয়েছে মণ্ডপে।”
০৬১০
বিরাজন আরও বলেন, “আমরা তো আত্মাকে দেখতে পাই না। এখানে ধোঁয়ার সাহায্যে তাকে বোঝানো হবে।” ৭। থাকবে অজস্র কাক এবং হাতে আঁকা রামায়ণ-মহাভারতের গল্প।
০৭১০
থাকবে অজস্র কাক এবং হাতে আঁকা রামায়ণ-মহাভারতের গল্প।
০৮১০
এখানেই শেষ নয়, বিরাজন কর্মকারের কথায়, “যেহেতু আমরা তর্পণ করি গঙ্গায়, মণ্ডপেও ঘাটের একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।”
০৯১০
তিনি আরও যোগ করেন, “শ্মশানযাত্রীদের গামছা থেকে শুরু করে মৃতদের নামাবলী, মৃত্যু সম্পর্কিত সব কিছুই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এখানে। আগে কারও বাবা-মা মারা গেলে, খড়ের শয্যায় শোওয়ার নিয়ম ছিল। তাই এখানে তেমন ব্যবস্থাও রয়েছে।”