এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
দুর্গাপুজো মানেই বাঙালির আবেগ, আনন্দ, আর নতুনকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব। শুধু মণ্ডপ আর প্রতিমা নয়, শহর কলকাতার পুজো মানে নতুন কিছু ভাবনা, নতুন কিছু থিম।
০২১০
এ বছর উত্তরের সুকিয়া স্ট্রিটে বৃন্দাবন মাতৃমন্দির তাদের ১১৬তম বর্ষের দুর্গাপুজোয় হাজির এমন এক চমক নিয়ে, যা শুধু চোখ জুড়িয়ে দেবে না, মনও ছুঁয়ে যাবে।
০৩১০
ছোটবেলায় স্কুলের বইয়ে রাজা রামমোহন রায় এবং বিদ্যাসাগরের গল্প পড়েছেন অনেকেই। তাঁদের সেই সব ইতিহাস বিজড়িত সুকিয়া স্ট্রিটই এ বার বৃন্দাবন মাতৃমন্দিরের পুজোর থিম।
০৪১০
ফিকে হয়ে যাওয়া অতীত ফিরে এসেছে রঙের খেলায়। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্যের সাক্ষী এই প্রাচীন সরণি এখন সেজে উঠেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায়।
০৫১০
মণ্ডপের পরতে পরতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রামমোহন এবং বিদ্যাসাগরের স্মৃতি।
০৬১০
এমন এক উদ্যোগের কারণ সম্পর্কে কমিটির অন্যতম সদস্য শিবেন্দু মিত্র বলেন, “আমাদের এ বারের বিষয়বস্তু সুকিয়া স্ট্রিট। বাংলার নবজাগরণের এক বিরাট অধ্যায় রচিত হয়েছে এই রাস্তার উপর দিয়েই।”
০৭১০
শিবেন্দু আরও যোগ করলেন, “এই সুকিয়া স্ট্রিটেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রথম বিধবা বিবাহ প্রচলন করেছিলেন। এক দিকে রাজা রামমোহন রায়ের বাড়ি, অন্য দিকে বাংলার রেনেসাঁর অন্যতম পথিকৃৎ বেথুন স্কুলের জন্মও কিন্তু এই সুকিয়া স্ট্রিটেই। এই সব কিছু মিলিয়েই এ বারে আমাদের নবজাগরণের থিম।”
০৮১০
মণ্ডপ আর প্রতিমা তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী ইন্দ্রজিৎ রায় এবং প্রতিমাশিল্পী কৃষাণু পাল। তাঁদের ভাবনাতেই সেজে উঠছে পুজো।
০৯১০
মণ্ডপ জুড়ে দেখা যাবে দেওয়ালচিত্র, ম্যুরাল, যা সুকিয়া স্ট্রিটের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরছে।
১০১০
মূলত প্লাইউড আর রং ব্যবহার করে এই শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার দারুণ এক মিশেল বলা যায়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।