কুসংস্কারের ‘অচলায়তন’ ভাঙার বার্তা তেলেঙ্গাবাগানে! দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আর কোন চমক?
ইট, সিমেন্ট দিয়ে জোরকদমে চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৪০
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
না চাইতেও অনেক সময়ই কত ধরনের কুসংস্কারের জালে জড়িয়ে যায় মানুষ, সেগুলি মাথায় পাকাপাকি একটা বাসা বেঁধে নেয়। এ বার তার বিরুদ্ধেই বার্তা দিতে প্রস্তুত তেলেঙ্গাবাগান।
০২১০
উত্তর কলকাতার এই পুজো এ বার ৬০ বছরে পা দিল। তেলেঙ্গাবাগানের এ বারের পুজোর থিম ‘অচলায়তন’।
০৩১০
এই ‘অচলায়তন’ মানে পাঠ্য বইয়ে পড়া সেই গল্প নয়। বরং কুসংস্কারের ‘অচলায়তন’ ভাঙার বার্তা দেবে এই ক্লাব তাদের থিমের মাধ্যমে।
০৪১০
তেলেঙ্গাবাগান সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক মধু সাহা আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “আমাদের থিমের নাম অচলায়তন।”
০৫১০
এই ভাবনার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “মূলত কুসংস্কার নিয়ে আমাদের এই থিম। আমরা আজও দেখি, বিড়াল রাস্তা কাটলে দাঁড়িয়ে পড়েন অনেকে। মাঙ্গলিক যাঁরা হন সেই মেয়েদের শিবের সঙ্গে, কিংবা কলা গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়, এ সমস্ত কুসংস্কার নিয়ে আমাদের মূল ভাবনা।”
০৬১০
তিনি এ দিন আরও জানান তেলেঙ্গাবাগানের এ বারের থিম থেকে সমস্ত পরিকল্পনা, প্রতিমা সবই করেছেন পরিমল পাল।
০৭১০
‘অচলায়তন’ বানাতে তেলেঙ্গাবাগানে ব্যবহৃত হয়েছে প্লাইউড, কাঠ, বাঁশ, সিমেন্ট, ইট। মধু সাহা জানিয়েছেন তাঁরা তাঁদের মণ্ডপসজ্জার কাজে কোনও দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করেননি।
০৮১০
তবে এ বার তাঁদের বিশেষ চমক রয়েছে অন্য জায়গায়। একটি অচল বা স্থির চিত্র রাখা থাকবে মণ্ডপে। সেটিকে স্ক্যান করলেই সচল হয়ে যাবে।
০৯১০
এই ভাবনার বিষয়ে মধু সাহা বলেন, “এটা খুব সম্ভবত আমরা কলকাতায় প্রথম করলাম। এটা একটা অভিনবত্ব যা আমরা দেখাতে চলেছি এ বার।”
১০১০
তা হলে এই বছর উত্তরের ঠাকুর দেখতে গেলে এক বার ঢুঁ মারবেন নাকি তেলেঙ্গাবাগানে? ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )