Advertisement
Durga Puja 2022

শোভাবাজার রাজবাড়ির ভোগের ইতিকথা! জেনে নিন কী কী রয়েছে সেই তালিকায়?

পুজোর সময় শোভাবাজার রাজবাড়ির ভোগ কী ভাবে তৈরি হয়? লিখছেন রাজা নবকৃষ্ণ দেবের উত্তরসূরি সায়ম কৃষ্ণ দেব।

পুজোর সন্ধ্যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি

পুজোর সন্ধ্যায় শোভাবাজার রাজবাড়ি ছবি সৌজন্যে: সায়র দেব

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৩০
Share: Save:

কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে চর্চা হবে আর শোভাবাজার রাজবাড়ির কথা হবে না, তা-ও আবার হয়? রাজা নবকৃষ্ণ দেবের হাতেই প্রতিষ্ঠা এই বংশের। এই বাড়ির পুজোর সুত্রপাতও তাঁরই হাত ধরে। ২৩৩ বছরের পুজো। তবু আজও সমান ঐতিহ্যের সঙ্গেই চলছে উদযাপন।

দেবী এ বাড়িতে কন্যারূপে পুজিত হন। তাই মাতৃমূর্তির সামনে ঝোলানো থাকে চিক। এক সময়ে দশমীতে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর প্রথা ছিল। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে এখন তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বন্দুক দাগা হয় সন্ধি পুজোর শুরু এবং শেষ ঘোষণা করতে। রয়েছে নৌকা করে মাঝগঙ্গায় গিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রথা।

শোভাবাজার রাজবাড়ির ভিয়েন ঘর

শোভাবাজার রাজবাড়ির ভিয়েন ঘর ছবি সৌজন্যে: সায়র দেব

শুধু প্রথা নয়, চমক রয়েছে রাজবাড়ির ভোগ প্রসাদেও। এ বাড়ির ভোগ কিন্তু আর পাঁচটা অন্য জায়গার মতো নয়। এক সময়ে পাঁঠা বলির প্রচলন থাকলেও শোভাবাজার রাজবাড়িতে ভোগ হিসাবে কিন্তু কোনও আমিষ ভোগ দেওয়া হয় না। বরং এই বাড়ির ভোগ বলতে মায়ের কাছে নিবেদন করা হয় মিঠাই বা মিষ্টি। গজা, চৌকো গজা, পান্তুয়া, জিভে গজা, খাস্তা কচুরি, নিমকি, জিলিপি। দশমীতে তার সঙ্গে থাকে আলুর সিঙারা। সবই কিন্তু তৈরি হয় বাড়িতেই।

আজও পুজোর পাঁচ দিন আর লক্ষ্মী পুজোর সময় বাড়িতে বসে ভিয়েন। বিশাল আয়োজনের সঙ্গে তৈরি করা হয় মায়ের প্রসাদ। বাড়ির সদস্য, আত্মীয়েরা তো বটেই, অন্যান্য অনেকেই সংগ্রহ করে নিয়ে যান এই মিঠাই। যার স্বাদ আজও অতুলনীয়।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE