প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Hanseswari Temple Bansberia Hooghly

রাজা নৃসিংহদেবের স্বপ্নে জন্ম, রানি শঙ্করীর হাতে সম্পূর্ণ, হংসেশ্বরীর মন্দির আজও বিস্ময়

বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির, যা ভারতীয় ও রুশ শিল্পের যুগলবন্দী, ছিল শ্রীরামকৃষ্ণেরও প্রিয়। কালী পুজোর আগে সেখানেই এক রাজকীয় রহস্যের খোঁজ।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২১
Share: Save:
০১ ১০
বাঁশবেড়িয়ার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভাসে এক আশ্চর্য মন্দির, যার রূপে মিশেছে ভারতীয় এবং রুশ স্থাপত্যের শৈল্পিক নিদর্শন। সেই হংসেশ্বরী মন্দির শুধু স্থাপত্য নয়, তন্ত্র সাধনারও এক জাগ্রত পীঠস্থান।

বাঁশবেড়িয়ার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভাসে এক আশ্চর্য মন্দির, যার রূপে মিশেছে ভারতীয় এবং রুশ স্থাপত্যের শৈল্পিক নিদর্শন। সেই হংসেশ্বরী মন্দির শুধু স্থাপত্য নয়, তন্ত্র সাধনারও এক জাগ্রত পীঠস্থান।

০২ ১০
জনশ্রুতি, রাজা নৃসিংহ দেব তন্ত্র সাধনা করার সময়ে দেবী হংসেশ্বরীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। দেবীর আদেশ মেনেই ১৮০২ সালে শুরু হয় মন্দিরের কাজ। নৃসিংহ দেব চেয়েছিলেন, মানবদেহের গঠনের অনুকরণে তৈরি হোক এই মন্দির— যেখানে থাকবে ইরা, পিঙ্গলা, সুষুম্না, বজরাক্ষ এবং চিত্রিণীর মতো যোগিক ধারণার ছাপ।

জনশ্রুতি, রাজা নৃসিংহ দেব তন্ত্র সাধনা করার সময়ে দেবী হংসেশ্বরীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। দেবীর আদেশ মেনেই ১৮০২ সালে শুরু হয় মন্দিরের কাজ। নৃসিংহ দেব চেয়েছিলেন, মানবদেহের গঠনের অনুকরণে তৈরি হোক এই মন্দির— যেখানে থাকবে ইরা, পিঙ্গলা, সুষুম্না, বজরাক্ষ এবং চিত্রিণীর মতো যোগিক ধারণার ছাপ।

০৩ ১০
১৮০২ সালে রাজা নৃসিংহ দেবের জীবনাবসান হলে মন্দিরের কাজ থমকে যায়। তবে ইতিহাস এখানে মুখ ফেরায়নি। রাজার স্ত্রী, রানি শঙ্করী দেবী এর পরে হাল ধরেন। তাঁরই চেষ্টায় ১৮১৪ সালে এই মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়।

১৮০২ সালে রাজা নৃসিংহ দেবের জীবনাবসান হলে মন্দিরের কাজ থমকে যায়। তবে ইতিহাস এখানে মুখ ফেরায়নি। রাজার স্ত্রী, রানি শঙ্করী দেবী এর পরে হাল ধরেন। তাঁরই চেষ্টায় ১৮১৪ সালে এই মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়।

০৪ ১০
৭০ ফুট উঁচু, ছ’তলা এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল এর তেরোটি পদ্মনবচূড়া। বলা হয়, এগুলি নাকি মানুষের জীবনের তেরোটি চক্রের প্রতীক।

৭০ ফুট উঁচু, ছ’তলা এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল এর তেরোটি পদ্মনবচূড়া। বলা হয়, এগুলি নাকি মানুষের জীবনের তেরোটি চক্রের প্রতীক।

০৫ ১০
গর্ভগৃহে অধিষ্ঠাত্রী দেবী হংসেশ্বরী। কাঠের তৈরি, নীল রঙের মূর্তি। চতুর্ভুজা দেবী পদ্মাসনে বসে আছেন মহাদেবের নাভি থেকে উত্থিত রক্তপদ্মের উপরে।

গর্ভগৃহে অধিষ্ঠাত্রী দেবী হংসেশ্বরী। কাঠের তৈরি, নীল রঙের মূর্তি। চতুর্ভুজা দেবী পদ্মাসনে বসে আছেন মহাদেবের নাভি থেকে উত্থিত রক্তপদ্মের উপরে।

০৬ ১০
দেবীর এক পা ভাঁজ করা, অন্য পা মহাদেবের বুকে স্থাপিত— মা কালীরই এক অপার রূপ যেন এখানে প্রকাশিত। শুধু কি দেবী? মন্দিরের তিনতলায় কষ্টিপাথরের বারোটি শিবলিঙ্গও আছে।

দেবীর এক পা ভাঁজ করা, অন্য পা মহাদেবের বুকে স্থাপিত— মা কালীরই এক অপার রূপ যেন এখানে প্রকাশিত। শুধু কি দেবী? মন্দিরের তিনতলায় কষ্টিপাথরের বারোটি শিবলিঙ্গও আছে।

০৭ ১০
শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশের চুনার থেকে পাথর আসে এবং রাজস্থানের জয়পুর থেকে আনা হয় কারিগরদের। কারুকাজে এর বিশেষত্ব এতটাই ছিল যে, স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি প্রায়ই এই মন্দিরে আসতেন। তন্ত্রের এই বাড়ি আজও সযত্নে রক্ষা করছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ।

শোনা যায়, উত্তরপ্রদেশের চুনার থেকে পাথর আসে এবং রাজস্থানের জয়পুর থেকে আনা হয় কারিগরদের। কারুকাজে এর বিশেষত্ব এতটাই ছিল যে, স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ নাকি প্রায়ই এই মন্দিরে আসতেন। তন্ত্রের এই বাড়ি আজও সযত্নে রক্ষা করছে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ।

০৮ ১০
পাশেই ১৬৭৯ সালে তৈরি অনন্ত বাসুদেবের মন্দির। সেখানে টেরাকোটার কাজ দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

পাশেই ১৬৭৯ সালে তৈরি অনন্ত বাসুদেবের মন্দির। সেখানে টেরাকোটার কাজ দেখতে ভিড় জমান দর্শনার্থীরা।

০৯ ১০
কালী পুজোর তিথিতে, দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবীকে ক্ষণিকের জন্য রাজবেশে সাজানো হয়।

কালী পুজোর তিথিতে, দীপান্বিতা অমাবস্যায় দেবীকে ক্ষণিকের জন্য রাজবেশে সাজানো হয়।

১০ ১০
হুগলির এই দুই স্থাপত্য যেন ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এক জীবন্ত উপাখ্যান, যেখানে ভক্তি আর স্থাপত্যের নিপুণ বুননে তৈরি হয়েছে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

হুগলির এই দুই স্থাপত্য যেন ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা এক জীবন্ত উপাখ্যান, যেখানে ভক্তি আর স্থাপত্যের নিপুণ বুননে তৈরি হয়েছে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy