পুজো শুরুর আগে এখানে অলক্ষ্মী বিদায় করার প্রথা আছে। তার পরে হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজো। সাবেক ডাকের সাজে সেজে ওঠেন দক্ষিণাকালী। ব্রিটিশ ইস্পাত সংস্থা শেফিল্ড-এর মালিক জন ইয়েটস মুগ্ধ হয়ে যে ভারী খাঁড়া উপহার দিয়েছিলেন, তা দিয়ে এখন প্রতীকী বলি দেওয়া হয় আখ বা শশা। এই আবেগ আর নিষ্ঠা আজও ধরে রেখেছে হালদার পরিবার।
শিমলা কাঁসারিপাড়ার প্রামাণিক বাড়ির কালীপুজো সাড়ে তিনশো থেকে চারশো বছরের ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। বংশ পরম্পরায় কংসবণিক সম্প্রদায়ের এই পুজো। প্রচলিত আছে, দেবীর ইচ্ছেতেই কৃষ্ণবর্ণের এক বালিকার নূপুরের শব্দ অনুসরণ করে শুরু হয়েছিল আরাধনা। পুজোর দিনে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়। এখানকার বিশেষ রীতি হল, দেবীকে প্রথমে ডাকের সাজে সাজিয়ে রাত গভীর হলে সোনার-রুপোর গয়না দিয়ে সাজানো হয়। আরতি হয় ধুনো পোড়ানো প্রথায়। পরিবারের সদস্যরা সায়াহ্নে সিদ্ধি গ্রহণ করেন। নৈবেদ্যের জন্য পুরোহিত প্রদান করেন কারণবারি।
নিস্তারিণী কালী মন্দির: হেদুয়া সংলগ্ন বেথুন রো-র নিস্তারিণী কালী মন্দির স্থানীয়দের কাছে ‘নানেদের কালী মন্দির’ নামেই বেশি পরিচিত। ১৮৬৫ সালে নবরত্ন শৈলীর এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র নান। কথিত, দক্ষিণেশ্বরের জন্য তৈরি করা কষ্টিপাথরের এক দেবীমূর্তি গর্ভগৃহে মাপসই না হওয়ায় এখানে স্থাপন করা হয়— সে কারণেই নাকি দেবী নিস্তারিণীকে বলা হয় ভবতারিণীর ‘বড় বোন’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy