Advertisement
Heritage Durga Puja

জেজুরের ‘ব্রহ্মদত্যির ঘর’-এ ১৫০ বছরের দুর্গাপুজো!

অবাক করা গল্প আছে হুগলির হরিপালে জেজুরের ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজোকে ঘিরে! জানেন কি সেই কাহিনি?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১২:২৩
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে উমা আরাধনার নানা মত, নানা প্রথা। তাকে ঘিরে আছে না জানি কত গল্প! তেমনই এক অবাক করা কাহিনি ঘিরে আছে হুগলির হরিপালের জেজুরের ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজোকে। তারই খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।

প্রায় দেড়শো বছরের পুজো। ঘোষ বাড়ির ঠাকুরদালানে মায়ের আরাধনার ঘর রয়েছে আজও। চিরকালীন প্রথায় পুজো হয় সেখানেই। যার শুরু ঘোষ বংশের এক পূর্বপুরুষের হাতে। সুপ্রাচীন সেই পুজোর ঘরের নাম ‘ব্রহ্মদত্যির ঘর’। কিন্তু দেবীর আরাধনা গৃহের এমন হাড় হিম করা নাম কেন?

শোনা যায়, প্রায় ১৫০ বছর আগে ঠাকুরদালানের ওই বিশেষ ঘরটিতে থাকতেন ঘোষ বাড়ির এক কুল পুরোহিত। তিনি ছিলেন ব্রহ্মচারী। ওই এলাকায় তখন ত্রাস সাত্যকি ডাকাত। ভয়ে তার ডেরাকে এড়িয়ে চলতেন সবাই। এ হেন সাত্যকি ডাকাত নাকি কোনও এক বিবাদের জেরে ঘোষবাড়ির ঠাকুরদালানে দাঁড়িয়েই মুণ্ডচ্ছেদ করেন সেই ব্রহ্মচারী কুল পুরোহিতের। তার পর থেকেই তাঁর ঘরটি ব্রহ্মদত্যির ঘর নামে পরিচিত।

ঘোষ বাড়ির এই আদি পুজো আজও সেই এক নিয়মে হয়। জন্মাষ্টমীতে দেবীর কাঠামোয় মাটির প্রলেপ পড়ে। বোধন হয় ষষ্ঠীর দিনে। সপ্তমীতে পুজোর সময়ে হোমযজ্ঞ হয়। সেই হোমকুণ্ডের আগুন একটানা জ্বলে নবমী পর্যন্ত, নেভানো হয় না। এ ছাড়াও পুজোর বিশেষ নিয়ম হিসেবে সপ্তমী থেকে নবমী রোজই বলি দেওয়া হয়। নবমীর বলিতে পাঁঠার সঙ্গে থাকে লেবুও।

দশমীতে প্রতিমাকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে পাশে এক নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। তার পরে বাড়ির পুরুষেরা ফিরে এসে ঠাকুরদালানে দুর্গা মায়ের নাম লেখেন, হাতে করে নিয়ে যান শান্তির জল। অন্দরমহলে গিয়ে মহিলাদের শান্তির জল দিয়ে আসেন পুরোহিত।

রীতিপালন শেষে কুলপুরোহিত নতুন পোশাক পরে ঠাকুর দালানে এসে বসেন। রঘুনাথ মন্দিরে জড়ো হয় গোটা পরিবার। প্রত্যেকে হাতে প্রসাদী বেলপাতা নিয়ে ভক্তিভরে প্রার্থনা সারেন সেখানেই।

পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে উমা আরাধনার নানা মত, নানা প্রথা। তাকে ঘিরে আছে না জানি কত গল্প! তেমনই এক অবাক করা কাহিনি ঘিরে আছে হুগলির হরিপালের জেজুরের ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজোকে। তারই খোঁজ রইল এই প্রতিবেদনে।

প্রায় দেড়শো বছরের পুজো। ঘোষ বাড়ির ঠাকুরদালানে মায়ের আরাধনার ঘর রয়েছে আজও। চিরকালীন প্রথায় পুজো হয় সেখানেই। যার শুরু ঘোষ বংশের এক পূর্বপুরুষের হাতে। সুপ্রাচীন সেই পুজোর ঘরের নাম ‘ব্রহ্মদত্যির ঘর’। কিন্তু দেবীর আরাধনা গৃহের এমন হাড় হিম করা নাম কেন?

শোনা যায়, প্রায় ১৫০ বছর আগে ঠাকুরদালানের ওই বিশেষ ঘরটিতে থাকতেন ঘোষ বাড়ির এক কুল পুরোহিত। তিনি ছিলেন ব্রহ্মচারী। ওই এলাকায় তখন ত্রাস সাত্যকি ডাকাত। ভয়ে তার ডেরাকে এড়িয়ে চলতেন সবাই। এ হেন সাত্যকি ডাকাত নাকি কোনও এক বিবাদের জেরে ঘোষবাড়ির ঠাকুরদালানে দাঁড়িয়েই মুণ্ডচ্ছেদ করেন সেই ব্রহ্মচারী কুল পুরোহিতের। তার পর থেকেই তাঁর ঘরটি ব্রহ্মদত্যির ঘর নামে পরিচিত।

ঘোষ বাড়ির এই আদি পুজো আজও সেই এক নিয়মে হয়। জন্মাষ্টমীতে দেবীর কাঠামোয় মাটির প্রলেপ পড়ে। বোধন হয় ষষ্ঠীর দিনে। সপ্তমীতে পুজোর সময়ে হোমযজ্ঞ হয়। সেই হোমকুণ্ডের আগুন একটানা জ্বলে নবমী পর্যন্ত, নেভানো হয় না। এ ছাড়াও পুজোর বিশেষ নিয়ম হিসেবে সপ্তমী থেকে নবমী রোজই বলি দেওয়া হয়। নবমীর বলিতে পাঁঠার সঙ্গে থাকে লেবুও।

দশমীতে প্রতিমাকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে পাশে এক নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। তার পরে বাড়ির পুরুষেরা ফিরে এসে ঠাকুরদালানে দুর্গা মায়ের নাম লেখেন, হাতে করে নিয়ে যান শান্তির জল। অন্দরমহলে গিয়ে মহিলাদের শান্তির জল দিয়ে আসেন পুরোহিত।

রীতিপালন শেষে কুলপুরোহিত নতুন পোশাক পরে ঠাকুর দালানে এসে বসেন। রঘুনাথ মন্দিরে জড়ো হয় গোটা পরিবার। প্রত্যেকে হাতে প্রসাদী বেলপাতা নিয়ে ভক্তিভরে প্রার্থনা সারেন সেখানেই।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bonedibari Durga Puja Heritage Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE