শতাব্দী প্রাচীন বনেদি রীতি মেনে পুজো হওয়া রামগোপাল সাহা বাড়ির পুজো আজও যেন ঐতিহ্যের সোনার অধ্যায় বহন করছে।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
বউবাজারের অলিগলিতে যত আলো, তার প্রতিটায় মিশে থাকে কতশত গল্প। কোনওটা হয়তো নতুন, কোনওটা পুরনো। এর মধ্যে ৪, ঠাকুরদাস পালিত লেনের রামগোপাল সাহা বাড়ির দুর্গা পুজো যেন সেই পুরনো দিনের গন্ধ আজও বয়ে বেড়ায়।
০২১০
১৭৫-১৮০ বছরের এক দীর্ঘ যাত্রা, যার শুরুটা হয়েছিল এক কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসার মধ্য দিয়ে। পুজোর মৌলিক রূপ আজও অপরিবর্তিত, আর এই অটুট ধারাই বনেদি বাড়ির গৌরব।
০৩১০
বর্ধমানের এক সাধারণ ছেলে ভাগ্যান্বেষণে শহরে এসেছিলেন। জীবনের কঠিন পথে চলতে চলতে সেই ছেলে এক সময় বড় মদ ব্যবসায়ী হয়ে ওঠে। জীবনের সেই সাফল্য আর কৃতজ্ঞতা থেকেই রামগোপাল সাহা শুরু করেছিলেন এই পুজো।
০৪১০
মাত্র ৫০ পয়সার বাজেট দিয়ে শুরু হওয়া সেই পুজো আজ এই শতকেও এক বনেদি বাড়ির ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।
০৫১০
এই বাড়ির ঠাকুরদালানে পা রাখলে মনে হয় যেন ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখা হচ্ছে। সোনালি নকশার সেই ঠাকুরদালান, লাল মেঝে আর তাতে আঁকা বিশাল আলপনা—সব কিছু মিলে এক অন্য রকম আবহ তৈরি করে এই বাড়ি।
০৬১০
এক বিঘা জায়গা জুড়ে থাকা এই প্রাঙ্গণটি এই অঞ্চলের সব চেয়ে বড় ঠাকুর দালানগুলির মধ্যে অন্যতম। ঠাকুর দালানের স্থাপত্য আজও মুগ্ধ করে। বিস্তৃত প্রাঙ্গণ, আলপনার টানে ফটোগ্রাফারদের ভিড় জমে।
০৭১০
পুজোর দিনগুলিতে এই বাড়ির অন্দরমহল সেজে ওঠে নতুন করে। ষষ্ঠী সন্ধ্যা থেকে দশমী পর্যন্ত চলে নানা ধরনের আচার-অনুষ্ঠান।
০৮১০
চাঁদনী চক মেট্রো স্টেশন থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই বাড়িটি। তাই মেট্রো থেকে নেমে পায়ে হেঁটে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়।
০৯১০
যাঁরা বনেদি বাড়ির পুজো ভালবাসেন, তাঁদের কাছে এই জায়গাটা এক অন্য রকম আকর্ষণ।
১০১০
বউবাজারের অন্যান্য বনেদি পুজো যেমন আকরুর দত্ত, বদনচন্দ্র রায় বা রানি রাসমণি পরিবারের সঙ্গে এটিও দর্শনার্থীদের অন্যতম গন্তব্য। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।