নবমী নিশিতে মনকেমন আট থেকে আশি সকলেরই। তবে ব্যতিক্রম বাঁকুড়ার শালতোড়া গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। দশমীতে মন খারাপ হয় না তাঁদের। কারণ দেবী থেকে যান বিজয়ার পরেও। আরও কিছু দিন কাটিয়ে একেবারে কন্যা লক্ষ্মীকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাসে রওনা দেন তিনি।
২০০-রও বেশি বছর আগে গ্রামের বাসিন্দা ভৈরব ভট্টাচার্যের হাত ধরেই সূচনা এই দুর্গাপুজোর। সেই সময়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের পদবি ছিল ভট্টাচার্য। এই পরিবারে দেবীকে বাড়ির মেয়ে হিসেবেই দেখা হয়। মাথা থেকে পা, মুড়ে রাখা হয় সোনার অলঙ্কারে। সপ্তমীর আগেই দেবীকে সাজিয়ে তোলা হয় সোনার চাদরে। দশ হাতে রুপোর দশ অস্ত্র। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কুলদেবতা নারায়ণকে সামনে রেখে আরাধনা করা হয় দেবীর। এর পরেই সেই অদ্ভুত রীতি। কথিত, সন্ধিপুজোয় ঠাকুরদালানে ভ্রমর আসে। আর তার পরেই দেবীর চরণ-সহ সাজানো ফুল পড়ে যায় মাটিতে। পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, এ ভাবেই নাকি দেবী সাড়া দেন তাঁদের প্রার্থনায়। বলা হয়, এই ফুল মাটিতে পড়ার মধ্যে দিয়েই আগামী এক বছর এলাকার ব্রাহ্মণ পরিবারের দিন কেমন যাবে, তা নির্ধারিত হয়। সন্ধিপুজোর ওই ক্ষণ পর্যন্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের সকলে নির্জলা উপবাসে থাকেন। নবমীর বিশেষ আকর্ষণ কুমারীপুজো। পুজোর সঙ্গেই চলে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। বলা হয়, অষ্টমীতে এই ঠাকুরদালানে পা রাখলে নাকি খালি পেটে বাড়ি ফেরা যায় না। খিচুড়ি ও পায়েস থাকে দেবীর ভোগে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।