রক্তেই তুষ্ট হন দেবী, আজও চলে আসছে বলি প্রথা! পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই কালীর কথা জানেন?
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কতই না আধ্যাত্মিকতা, তন্ত্রসাধনা এবং নানা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:১৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
কালীপুজোয় বলির প্রথা চলে আসছে কয়েকশো বছর ধরেই।
০২১০
এখন অবশ্য কিছু জায়গায় নিয়ম করে বলি প্রথা নিষিদ্ধ হলেও দেবী আদৌ পশুহত্যা অথবা রক্ত চান কি না, সেই নিয়ে দ্বন্দ্ব চিরকালের।
০৩১০
তবে এই দেবী কিন্তু রক্ত চান। কথা হচ্ছে কাঠমান্ডুর বহুল আলোচিত দেবী রক্তকালীকে নিয়ে।
০৪১০
কাঠমান্ডুর নরদেবীর পথেই অবস্থিত এই মন্দির। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কতই না আধ্যাত্মিকতা, তন্ত্রসাধনা এবং নানা ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এই মন্দির।
০৫১০
স্থানীয়রা বিশ্বাস করতেন, প্রাচীনকালে দেবীকে তুষ্ট করা হত রক্ত দিয়েই।
০৬১০
তাই আজও শক্তি ও সুরক্ষার প্রতীক হিসেবে এবং যাহা কিছু মন্দ, তাকে ধ্বংস করতে দশাইয়ের সময়ে দেবীর কাছে দেওয়া হয় পশুবলি।
০৭১০
বলা হয়, এই দেবী খুবই জাগ্রত। তবে কোনও বদ উদ্দেশ্য নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করলে অক্ষত থাকেন না কেউই।
০৮১০
প্রকৃতির কোলে ছোট্ট এই মন্দিরে কেবল কালীর-ই বাস নেই। রয়েছেন আরও কিছু ঠাকুরের বিগ্রহও। যেমন হনুমান, বিষ্ণু, গণেশ ইত্যাদি।
০৯১০
সাধারণত সকাল সকালই খুলে যায় মন্দিরের মূল ফটক। তার পরেই একে একে দর্শনার্থীদের সমাগম।
১০১০
তবে শনি এবং মঙ্গলবার থাকে না তিল ফেলার জায়গা। বিশেষ করে দসৈঁ উৎসবের সময়ে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।