কথায় বলে, ‘আনলাকি থার্টিন’! কিন্তু মালদহের হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী কালীপুজোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারেই তেমন নয়।
বরং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এই ১৩-ই হল উদ্যাপনের অন্যতম সংখ্যা।
বিষয়টি খোলসা করেই বলা যাক বরং। মালদহের এই বুলবুলচণ্ডী কালীপুজোর নামডাক গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই। এক দিন বা দুই দিন নয়, এই কালীপুজো চলে টানা ১৩ দিন ধরে।
১৪তম দিনে হয় দেবীর বিসর্জন। হ্যাঁ, বিশেষ এই রীতিই দেবীর পুজোকে অন্য সকলের থেকে আলাদা করে।
এই সব কিছুরই শুরু পাঁচ বন্ধুর হাত ধরে। জানা যায়, প্রায় ৭৪ বছর আগে এই পাঁচ বন্ধুতে একজোট হয়েই নাকি শুরু করেন দেবীর আরাধনা।
মনে নিষ্ঠা ও ভক্তি পরিপূর্ণ। কিন্তু তা-ই কি যথেষ্ট? অর্থবল বেশি না থাকায় প্রথম বছর প্রতিমার আকার হয় বেশ ছোট।
তবে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে দেবীর আকার। সেই সঙ্গে পুজোর আড়ম্বরও।
বলা হয়, এক সময়ে নাকি এই পুজোর প্রতিমার উচ্চতা গিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৪৮ ফুটে। পরে অবশ্য স্থায়ী মন্দির তৈরি হওয়ায় কমিয়ে ৪২শে আনা হয়।
এখন প্রতি বছরই এই পুজোর প্রতিমা হয় ৪২ ফুটের।
এই পুজোকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষ ছুটে আসেন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
পুজোর সময়ে আয়োজিত হয় বিশাল মেলাও। চলে ১৩ দিন ধরেই।
বিসর্জনের দিনেও ভক্তদের সমাগম চোখে পড়ার মতো।
বলা হয়, কাঠামোর উপরে ভর করে বাঁশের উপর দিয়ে গড়িয়ে অভিনব কায়দায় বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমাকে।
এ বছরও দেবীর আগমনের প্রহর গুনছেন ভক্তরা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy
Please enter the One Time Password, that we have sent on Change
Help us know you more by sharing some additional information
Gender