নদীয়া মানেই শাক্ত এবং বৈষ্ণব মতের মিলনক্ষেত্র। এই জেলার পৌষ সংক্রান্তির সময় হওয়া কালীপুজো দারুণ জনপ্রিয়।
আর এখানকার নৃসিংহপুরের ৫২ হাতের কালী আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
নদীয়ার শান্তিপুরের নৃসিংহপুরের কালনাঘাটে বিগত ৪৮ বছর ধরে পূজিত হয়ে আসছেন ৫২ হাতের এই কালী প্রতিমা।
না, এই কালী প্রতিমার ৫২টি হাত নেই। বরং এর উচ্চতা ৫২ হাত।
যদিও বর্তমানে ৫২ হাতের বদলে ৪২ হাত উচ্চতা অর্থাৎ ৬৩ ফুটের দেবী মূর্তি পুজো হয়। কিন্তু উচ্চতা কমলেও আজও এই পুজো ৫২ হাতের কালীপুজো নামেই খ্যাত।
কথিত আছে নিমাই অর্থাৎ শ্রীচৈতন্যদেব যে ঘাট দিয়ে গঙ্গা পার করেছিলেন সেখানেই এই দেবী পূজিত হন।
১৯৭৭ সালে এই অঞ্চলের ১০ জন ব্যবসায়ী প্রথম পৌষ কালীপুজো শুরু করেন।
স্বপ্নাদেশের কথা মতো দীপাবলির বদলে মকর সংক্রান্তিতে এই পুজো শুরু করেন।
যদিও গোড়ার দিকে দেবী প্রতিমার উচ্চতা ছিল কেবল ২১ হাত।
তবে একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে তালগাছের নিচে দেবীর আরাধনা করা হচ্ছিল সেটা ভেঙে পড়ে।
এর পর থেকে প্রতিমার উচ্চতা বাড়িয়ে তালগাছের সমান করে দেওয়া হয়।
১০ দিন ধরে এই পুজো চলে।
পুজো উদ্যোক্তারা বর্তমানে মন্দির নির্মাণ করেছেন এই দেবীর। সেখানেই এখন পুজো পান ৫২ হাত কালী।
১০ দিনের পুজোর শেষে কালী মূর্তিকে মন্দিরের মধ্যে জল দিয়ে মিশিয়ে ফেলা হয়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।
Or
Re-send email
Cancel
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy
Please enter the One Time Password, that we have sent on Change
Help us know you more by sharing some additional information
Gender