প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

এই পৃথিবীর এক স্বর্গের নাম তুঙ্গনাথ! পুজোয় ঘুরে আসুন

পায়ে হাঁটা পাহাড়ি পথ। খাড়াই। তবে ধীরে ধীরে চললে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। খুব প্রয়োজন হলে ঘোড়া আছে। যাবেন নাকি ‘মধ্যম কেদার’ তুঙ্গনাথে। এই পুজোতেই।

প্রদীপ্ত চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ২০:১০
ছবি: লেখক

ছবি: লেখক

হরিদ্বার বা হৃষীকেশ থেকে রুদ্রপ্রয়াগ হয়ে চোপতা। ভারতের সুইজারল্যান্ড নামে পরিচিত চোপতা নিজেও অপূর্ব সুন্দর। এখান থেকে মাত্র ৩.৫ কিমি পথ পায়ে হেঁটে চলুন ‘মধ্যম কেদার’ তুঙ্গনাথ। এটি ভারতের সবচেয়ে উচু মন্দিরও বটে। মাত্র ৩.৫ কিমি পথ হলেও ভালই চড়াই। চোপতার নিজস্ব উচ্চতাও ৯০০০ ফুটের উপরে। কাজেই পথে দমে টান পড়া অস্বাভাবিক নয়। তবে ধীরে ধীরে চললে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। খুব প্রয়োজন হলে ঘোড়া আছে।

তবে রাতটা চোপতায় কাটিয়ে সকাল সকাল রওনা হলে আবহাওয়ার সঙ্গে শরীর মানিয়ে নেবে। পথের ক্লান্তিও থাকবে না। আর যত বার খুশি থামুন না, প্রতিবারই তো পথের বাঁকে নতুন ল্যান্ডস্কেপ। পথে পড়বে এক বুগিয়াল। বুজয়াল বুগিয়াল। হাতে সময় থাকলে ওখানে একটু বসুন। মন ফুরফুরে হয়ে যাবেই।

তুঙ্গনাথ পৌঁছতে ঘন্টা দুয়েক লাগবে। মনে হলে আরও বেশি সময় নিন। কেউ তাড়া দেবে না। তুষারমৌলি হিমালয় স্বয়ং আছেন আপনার ক্লান্তি দূর করতে। যদি পরদিন চন্দ্রশিলা দেখার পরিকল্পনা থাকে, তবে দেবদর্শন সেরে একটা মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজে নিন।

তুঙ্গনাথে কেউ তথাকথিত হোটেল আশা করবেন না। কোনও রকমে রাত কেটে যাবে। রাতে খিচুড়ি খেয়ে শুয়ে পড়ুন। রাত ৪টেয় উঠে হাঁটা শুরু চন্দ্রশিলার পথে। অবশ্যই আগের দিন গাইড বলে রাখবেন স্থানীয় দোকানে। না হলে অন্ধকারে রাস্তা চিনতে পারবেন না। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা হাওয়া। ১.৫ কিমি পথ শেষ হয় চন্দ্রশিলায়। পৌঁছে মনে হয় ‘আমি চোখ মেললুম আকাশে, জ্বলে উঠল আলো পুবে পশ্চিমে’!

ছবি: লেখক

ছবি: লেখক

আকাশে শুরু রঙের খেলা। আপনার চোখের সামনে সূর্যদেব দেখা দেওয়ার তোড়জোড় করবেন। একে একে আলো ছুঁয়ে যাবে চৌখাম্বা, কেদার, নীলকণ্ঠ— আরও কত নাম না জানা শৃঙ্গকে। এক মোহগ্রস্থ অবস্থা হবে তখন। হাতের ক্যামেরা খুলতেও ইচ্ছে করে না। আর ক্যামেরার ক্ষমতা কতটুকু যে, এই দৃশ্য বন্দি করে! হাত পা ঠান্ডায় কেমন অসাড়, চুপ করে শুধু বসে থাকতে ইচ্ছে হয় শুধু। এক সময় গাইড এসে জানান দেবে, এবার যে ফিরতে হবে! মধ্যম কেদারের মন্দির, অথচ ভিড় থাকে না তেমন। ফাঁকা মন্দিরে শান্তিতে পুজো দিন। ফেরার খুব তাড়া না থাকলে ঘুরে বেড়ান মন্দির চত্বরে। ওই চত্বর থেকেই দেখা পাবেন চৌখাম্বার। এক সময় ঘড়ির কাঁটা বলে দেবে, এবার ফেরত যাওয়ার পালা, চোপতার পথে। পাথর বাঁধানো রাস্তা, ক্যামেরার শাটার চাপতে চাপতে শেষ। তবে নামার সময় সাবধান থাকবেন, দমে টান পড়ে না বলে তাড়া করবেন না, বেশ ঢালু রাস্তা, পা পিছলে চোট লাগতে পারে। তার চেয়ে বরং ছবি তুলতে তুলতে হিমালয়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে নেমে আসুন চোপতা।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

Travel spot travelling Travel Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy