অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার। ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সরকার গঠনের প্রথম দু’দফায় বিধানসভা ভোটে দাঁড়ানোর টিকিট পাননি তাঁরা। অবশেষে অপেক্ষার অবসান। এ বার দলের হয়ে প্রতিপক্ষকে টক্কর দিতে বিধানসভা ভোটে দাঁড়াচ্ছেন শহরের দু’প্রান্তের দুই তৃণমূল কাউন্সিলর— অতীন ঘোষ এবং দেবাশিস কুমার।
উত্তর কলকাতার কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্র থেকে দাঁড়াচ্ছেন অতীনবাবু। ১৯৮৫ সাল থেকে ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সাত বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মাঝে দু’বার ওই ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত থাকায় সেখানে প্রার্থী হননি। অন্য দিকে রাসবিহারী কেন্দ্রে টিকিট পেয়েছেন দেবাশিসবাবু। ২০০০ সাল থেকে দক্ষিণ কলকাতার ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে টানা চার বার কাউন্সিলর পদে থেকেছেন তিনি।
শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পরেই নিজ নিজ এলাকা পরিদর্শন করেছেন অতীন-দেবাশিস। কথা বলেছেন বাসিন্দাদের সঙ্গে। বিকেলে চিৎপুরের চিত্তেশ্বরী ও সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেন অতীনবাবু। তার পরে শুরু জনসংযোগ। রাত পর্যন্ত রাসবিহারী কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছেন দেবাশিসবাবুও।
কথা বলতে বলতে পুরনো দিনে ফিরে যাচ্ছিলেন দু’জনেই। ছাত্র রাজনীতি, যুব কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগ্রামের কাহিনি— অতীন-দেবাশিসের কথায় আসছিল সে সব প্রসঙ্গই। এ বার তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ বিজেপি। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই দু’জনের স্বীকারোক্তি, ‘‘এ বারের ভোট বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার লড়াই। বাংলার সামাজিক পরিবেশ, জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে থাকব। জয়ী হবই।’’
অতীনবাবু ও দেবাশিসবাবু দু’জনেই মনে করছেন, গত দশ বছর তৃণমূল রাজ্যে যথেষ্ট উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। সেই কথাই মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান ওঁরা। জিতে ফিরলে বেশি করে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। অতীনবাবুর কথায়, ‘‘ভোটে জিতে উত্তর কলকাতার পরিবহণ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে চাই। ওই এলাকায় উড়ালপুল, ফুটব্রিজ থেকে শুরু করে ঝুপড়িবাসীদের সামাজিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের বাড়ি তৈরির দিকে মন দেব।’’ আর দেবাশিসবাবুর কথায়, ‘‘জিতে এসে প্রতিটি মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy