রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রামের ঘটনা উচ্চপর্যায়ের তদন্ত চাইলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য রাজীবের কথায়, ‘‘সঠিক তদন্ত হলেই সকলে বুঝে যাবেন এর পেছনে কোনও চক্রান্ত রয়েছে না কি নিছকই নাটক।’’
শুক্রবার বিকালে হাওড়া চামরাইলে বিজেপি-র কর্মিসভায় রাজীবের মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল সরকার যদি গরিব মানুষের সরকার হয়, তা হলে এতদিন কেন তাঁদের কথা চিন্তা করেনি? পিকের দলকে এনে কী ভাবে কোটি কোটি টাকা খরচা করছেন। হেলিকপ্টারের পিছনে খরচ হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা । কোথা থেকে আসছে সেই টাকা?’’
রাজীব দাবি করেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ যখন কোন ব্যক্তি কে ভালোবাসে তখন সেই ব্যক্তি লক্ষাধিক ভোটে জয় লাভ করে। আগামী নির্বাচনে আবারও ডোমজুড় থেকে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন। তাঁর কথায়, ‘‘ডোমজুড় কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রতি মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে।’’ একইসঙ্গে শুক্রবার নন্দীগ্রাম কাণ্ডের প্রতিবাদে তৃণমূলের মৌনী মিছিলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, হার নিশ্চিত জেনে মানুষের সহানুভূতি পেতে এই মিছিল করা হচ্ছে।’’
রাজীবের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে যে ভালোবাসা দিয়েছে তাতে তাঁর নাটক করার প্রয়োজন হয় না। মমতা না থাকলে কোনওদিন মন্ত্রী হতে পারতেন না রাজীব। তিনি এত বড় বেইমান যে দুঃসময়ে মমতাকে ছেড়ে বিজেপি-তে চলে গিয়েছেন। ডোমজুড়ের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন।’’
মমতা মন্ত্রিসভায় রাজীবের সহযোগী তথা নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য সরাসরি বুধবার রাতে বিরুলিয়া বাজারের ঘটনা সম্পর্কে সরাসরি কোনও প্রশ্ন তোলেননি। শুক্রবার মনোনয়ন দাখিল করার পর শুভেন্দু জানান, ওই ঘটনা মমতার ‘ব্যক্তিগত’ বিষয়। কোনও ‘রাজনৈতিক’ বা ‘ফৌজদারি’ ঘটনা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy