প্রতীকী ছবি।
ভোটের আগের দিন আতঙ্ক-উত্তেজনায় দিনভর তেতে রইল ঘাটাল। এ দিন সকালে দাসপুর থানার রাজনগরের প্রকাশ্য রাস্তা থেকে দু’টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পৌঁছয় পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডেও। অন্য দিকে, বোমা উদ্ধার হয়েছে কেশপুরেও। কেশপুরের চরকা থেকে এ দিন বিকেলে সব মিলিয়ে ১২টি বোমা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকালে দাসপুর থানার রাজনগরের রাসতলায় ঘাটাল-নাড়াজোল সড়কের উপর দু’টি তাজা বোমা চোখে পড়ে স্থানীয়দের। ভোটের আগের দিন এলাকায় বোমা উদ্ধারের খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে দাসপুর জুড়ে। পথে নামে তৃণমূল বিজেপি যুধুধান দু’পক্ষই। ভোটের দিন এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা করে সরব হয় তারা। পুলিশের এক সূত্রের খবর, এমনিতেই দিনকয়েক ধরে উত্তপ্ত দাসপুরের বিভিন্ন এলাকা। দাসপুরের ধর্মা ও রসুলপুরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। সেখানে দু’পক্ষের বহু কর্ম-সমর্থক জখমও হয়। তা ছাড়া রাজনগর এলাকাতেও কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা রয়েছে।
তৃণমূলের দাসপুর-১ ব্লক সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন, “রাজনগর পশ্চিম বুথে আমাদের পোলিং এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজেপি। ভোটের দিন অশান্তি পাকানোর জন্যই বোমা মজুত রাখা হয়েছে।” অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, “তৃণমূল ওই এলাকায় পোলিং এজেন্ট বসাতে পারবে না। কোনও কর্মী নেই। নিজেদের দুবর্লতা ঘোরানোর জন্য বোমা রেখে নাটক করছে তৃণমূল।” জেলা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “দাসপুরে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।”
অন্য দিকে, কেশপুরের চরকার একটি জঙ্গল থেকেও বোমা উদ্ধার হয়। ভোটে সন্ত্রাস তৈরির জন্যই এই সব বোমা মজুত করা হয়েছিল কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘বোমাগুলি উদ্ধার করা হয়েছে। কারা রেখেছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ বিরোধীদের অভিযোগ, ভোটে অশান্তি করার ছক কষছে তৃণমূল। অভিযোগ উড়িয়ে কেশপুরের তৃণমূল প্রার্থী শিউলি সাহার দাবি, ‘‘এফআইআর যদি দেখেন, দেখবেন প্রত্যেকটা গন্ডগোল বিরোধীরাই করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy