রবি মোদী শিল্পপতি
কী করেন?
কলকাতার প্রথম সারির ব্যবসায়ী। ‘মান্যবর’-এর কর্ণধার। বিয়ে হোক বা ঘরোয়া পুজো, পুরুষদের সাবেক সাজের অন্যতম ঠিকানা এখন তাঁর বিভিন্ন দোকান। সাধ্যের মধ্যে পুরুষদের জন্য ধুতি-কুর্তা থেকে শেরওয়ানি, রকমারি পোশাকের জোগান দেয় তার সব বিপণি।
কেন?
কলকাতার সবচেয়ে ধনী ব্যবসায়ী কে? ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের দৌলতে অনেকেই হরিমোহন বাঙুরের নামের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু তার পর? দু’নম্বরে যিনি, সেই রবি মোদীর নাম প্রায় কেউ জানেন না। অথচ তাঁর ব্যবসার পরিমাণ ৩০,০০০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে। রণবীর সিংহ, বিরাট কোহলি, অমিতাভ বচ্চন তাঁর পণ্যের বিজ্ঞাপন করেন। সারা দেশে ৬০০-র বেশি বিপণি তাঁদের। ব্যবসা ছড়িয়েছে বিদেশেও। ১১টির বেশি দোকান আছে পৃথিবীর নানা শহরে।
আর কী?
প্রথম সাফল্যের পর চুপ করে বসে থাকেননি। বরং ব্যবসার পুনর্বিন্যাস করেছেন। হার্ভার্ডের মাস্টারমশাই সি কে প্রহ্লাদের আদর্শে ব্যবসাকে ভাগ করেন ‘কোর’ এবং ‘নন-কোর’— দুই ভাগে। মান্যবরের যে সব বিশাল বিপণি সারা কলকাতায় দেখা যায়, সবগুলিই ফ্র্যাঞ্চাইজ় করে দিয়েছেন। খুব কম ব্যবসায়ী এই দুঃসাহস দেখাতে পারবেন। রবি আর্থিক জগতের এক বিস্ময়কর সাফল্য।
এর পর?
ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই। তার জন্য যা ভাবার, ভাবেন। তবে সাধারণ জীবনযাপনে বিশ্বাসী। আলিপুরের বাড়ি ছেড়ে থাকেন বৈদিক ভিলেজে। দিনভর যোগাভ্যাস করেন। নামী সংস্থার পুরস্কার নিতে যাননি প্রাণায়ামের সময়টা চলে যাবে বলে। মনে করেন, সকলেই শুধু লোটা নিয়ে এসেছেন। লোটা নিয়েই চলে যাবেন। মাঝের যা কিছু, তার কোনওটিই আসলে আপন নয়। তাই শুধু বস্তুবাদে মন দিয়ে জীবন কাটিয়ে দিতে চান না।
১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।