২০২২
Presented by
Powered by
Co - Powered by
In Association with
Mishti Mukh Partner
Beauty Partner
Gadgets Partner
Wellness Partner
Literature Partner
Trust Partner
Outdoor Partner
Back to
ফিরে দেখা বছরের বেস্ট
বছরের বেস্ট ২০২২
রনি মজুমদার

রনি মজুমদার রসনা ব্যবসায়ী

কী করেন? 

ছোটবেলা থেকে বাড়িতে যে সব রান্না খেয়েছেন, তা-ই এখন রেস্তরাঁয় বসিয়ে খাওয়ান আমেরিকাবাসীকে। ‘মসালাওয়ালা অ্যান্ড সন্‌স’-এ যেমন কলকাতার সব জনপ্রিয় খাবার খাওয়ানো হয় নিউ ইয়র্কের বাসিন্দাদের। ‘স্যামা’-এ দক্ষিণী খাবার। আছে ‘আড্ডা ইন্ডিয়ান কিচেন’, ‘রাউডি রুস্টার’, ‘ধমাকা’-র মতো আরও নানা মেজাজের ঠিকানা। ৩৯ বছরের রনি এখনও দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান সাবেক স্বাদের উৎস সন্ধানে। 

কেন? 

ফুটবলে স্বীকৃতি বিশ্বকাপ। সাহিত্যে নোবেল। না হলেও নিদেন পক্ষে বুকার। রান্নার ক্ষেত্রে তেমন মিশেলিন তারকা। সে সময়ে মাত্র হাজার তিনেক গাড়ি ছিল গোটা ফ্রান্সে। মিশেলিনদের সংস্থা গাড়ির টায়ার বানাত। নিজেদের ব্যবসা বাড়াতেই নতুন ভাবনা এসেছিল দুই মিশেলিন ভাইয়ের মাথায়। গাড়ি নিয়ে কোথায় গিয়ে মনের মতো খাবার খাওয়া যাবে, তা চেনাতে বিশেষ কিছু রেস্তরাঁকে ‘মিশেলিন স্টার’ দেওয়া শুরু হয়। এ সব বিশ শতকের গোড়ার কথা। শতাব্দী পেরিয়ে ‘মিশেলিন স্টার’ এখন নানা দেশে ছড়িয়ছে। এই তারকাটি লাভ করার জন্য কী না করেন বিশ্বখ্যাত রাঁধুনিরা! না পেলে আত্মহত্যা করেন, এমনও নজির রয়েছে। এ খেতাব এ দেশে বিশেষ আসেনি। আগে মাত্র জনা তিনেক ভারতীয় পেয়েছেন। রনি তাঁদের মধ্যে প্রথম বাঙালি। তবে বাঙালি খাবার খাইয়ে নয়, দক্ষিণী রান্নার জন্য। ‘স্যামা’-ই আমেরিকায় একমাত্র ভারতীয় রেস্তরাঁ, যেটি ২০২২ সালে ‘মিশেলিন স্টার’ পেয়েছে। 

আর কী?

সাহেবদের শুধু ভারতীয় খাবার খাওয়ানোই উদ্দেশ্য নয়। খাবারের মাধ্যমে এ দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্যের পরিচয়ও ঘটাতে চান রনি। বলেন, ‘‘আগে দেখতাম, আমাদের দেশের খাবার বিশেষ গুরুত্ব পেত না নিউ ইয়র্কে। সাধারণত অল্প টাকায় পেটভরা খাবার পাওয়ার জন্য ভারতীয় খাবার কেনা হত তখন।’’ বিষয়টা ‘সম্মানজনক’ বলে মনে হয়নি রনির। ফলে নিজেদের খাবার এবং সংস্কৃতির যে সম্মান প্রাপ্য, তার জন্য কাজ করে যেতে চান দমদমের এই ভূমিপুত্র। 

এর পর?

রেস্তরাঁর কায়দার খাবার মোটেই খাওয়ান না রনি। তাঁর রেস্তরাঁয় ঘরোয়া মেজাজের ভারতীয় খাবার পাওয়া যায়। ভাপা ইলিশ খেতে হলে কাঁটা বেছেই খেতে হয়। ‘বোনলেস’ ইলিশ হয় না। এ ভাবেই চলবে। মাস কয়েকের মধ্যে খুলবে ‘কবাবওয়ালা’ নামে আরও একটি ঠিকানা।

 

আমাদের পার্টনার্স
ইআইআইএলএম-কলকাতা

১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।