গাঁধীনগর কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন আডবাণী। ছবি: পিটিআই।
ভোপাল না গাঁধীনগর? সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে গাঁধীনগর থেকেই লোকসভা নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর লাগালেন আডবাণী। শনিবার গাঁধীনগর থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন এই প্রবীণ নেতা। সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘গাঁধীনগর থেকে নির্বাচন না লড়ার কথা কখনওই বলিনি।’’ তাঁর দাবি, ভোপাল থেকে তাঁকে নির্বাচন লড়ার জন্য জোরদার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই তিনি ভোপাল থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন মাত্র। তিনি জানান, গাঁধীনগর থেকে প্রার্থী হতে পেরে তিনি খুবই খুশি। কারণ গাঁধীনগর ও গুজরাতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুধু নির্বাচন লড়া নিয়ে নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি দেশভাগের বিষয়টিও টেনে আনেন।
গাঁধীনগর থেকে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম মনোনয়ন করা হলেও মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকেই নির্বাচনে লড়বার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন লৌহপুরুষ এল কে আডবাণী। কিন্তু গাঁধীনগর থেকে তাঁর নির্বাচনে লড়ার অনিচ্ছাকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ মোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করারই সামিল বলে মনে করেছিল দল। এর পর দফায় দফায় বৈঠক করে বর্ষীয়ান নেতার মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন দল ও সঙ্ঘ নেতারা। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তিনি। এমনকী, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বিজেপি ও সঙ্ঘ নেতারা তাঁকে খরচের খাতায় ফেললেও তাঁর যে এখনও চাহিদা আছে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেন আডবাণী। ইতিমধ্যে আডবাণী ঘনিষ্ঠ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাঁকে ভোপাল থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেন। অন্য দিকে, প্রস্তাব আসে ওই কেন্দ্রেরই সাংসদ কৈলাস জোশীর কাছ থেকেও। কিন্তু দলের প্রস্তাব খারিজ করা মানে ভোটের আগে তা জনমানসে বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy