ডায়াবিটিসের ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস মানেই জীবন থেকে অনেক কিছু এক নিমেষে বাদ চলে যায়। জীবনযাপনে হাজার বেনিয়মের কারণে ডায়াবিটিস রোগ এখন ঘরে ঘরে। সব চেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলির মধ্যে ডায়াবিটিস অন্যতম। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার ফলে ঘুম কম হওয়া, অবসাদ, উদ্বেগজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। শরীরের সঙ্গে এই অনিয়মের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। শরীরে বাসা বাঁধে ডায়াবিটিস। পুষ্টিবিদদের মতে, ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। কেবল কাঁড়ি কাঁড়ি ওষুধের উপর নয়, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ভরসা রাখতে পারেন, বার্লি-জলের উপর।
বার্লিতে রয়েছে ‘বিটা গ্লুকান’ নামক সহজপাচ্য একটি ফাইবার। যা রক্তে উপস্থিত অতিরিক্ত শর্করা শোষণে বাধা দেয়। হঠাৎ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দিতে পারে এই বার্লি ভেজানো জল।
কী ভাবে বানাবেন?
বার্লি ভাল করে ধুয়ে রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ভেজানো বার্লির সঙ্গে আরও খানিকটা জল মিশিয়ে ফোটাতে থাকুন। মিনিট দশেক পর মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। বার্লি ছেঁকে নিয়ে ওই মিশ্রণে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস বা পুদিনা পাতা মেশাতে পারেন। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে এই বার্লি বা যব ভেজানো জল খেতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
আর কী কী সমস্যার সমাধান করতে পারে বার্লি ফোটানো জল?
১) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে বার্লি ভেজানো জল। পুষ্টিবিদদের মতে, বার্লিতে ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই এই জল খেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
২) দেহের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ বেড়ে গেলে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। গরমে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে জল বা বাজারজাত পানীয়ের উপর ভরসা না করে বার্লির জল খেয়ে দেখতে পারেন।
৩) মূত্রনালিতে সংক্রমণ এবং কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন বার্লি ভেজানো জলে। শরীরে জলের চাহিদাপূরণ থেকে শুরু করে দূষিত পদার্থ দূর করা— সবেতেই কার্যকর বার্লি ভেজানো জল।
৪) ওজন ঝরাতে যত কসরতই করুন না কেন, কোনও কাজই হবে না যদি বিপাকহার উন্নত না হয়। বিপাকহার ভাল হলে তার প্রভাব পড়ে শারীরবৃত্তীয় নানা কাজে। এ ক্ষেত্রে বার্লি ভেজানো জল বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ক্রনিক অসুখ থাকলে ডায়েটে কোনও বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy