এই ডিটক্স ওয়াটারের গুণেই জব্দ হবে মেদ, বাড়বে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ।
আমাদের প্রত্যেকেরই দিনে কমবেশি দু’ থেকে তিন লিটার জল খাওয়া উচিত, যাতে শরীর তার প্রয়োজনীয় জল পায় এবং দূষিত টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে অত মেপে জল খাওয়া আর হয়ে ওঠে না! তবে সুস্থ থাকতে হলে জলের সঙ্গে কোনও রকম আপস করলে চলবে না। এ ক্ষেত্রে অনেকেই ভরসা রাখেন ‘ডিটক্স ওয়াটার’-এর উপর। এই পানীয় হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার জন্যও এটি ভাল দাওয়াই। তা ছাড়া ভিটামিনে ভরপুর এই জল কিন্তু ত্বকেরও পরম বন্ধু। এই ফল ভেজানো জল খাওয়ার ফলে পেট ভর্তি থাকে, খিদেও কম পায়। ফলস্বরূপ ওজন ঝরে অনায়াসেই। কেবল মেদ ঝরাতেই নয়, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই জাদু পানীয়গুলির জবাব নেই।
এই ডিটক্স জল বানানো এমন কিছু কঠিন নয়। বাড়িতে খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই জল। রাতে তৈরি করে রাখলে পরের দিন খেতে পারবেন। সারা দিন ধরে একটু একটু করে চুমুক দিয়ে খেলেই মিলবে সুন্দর ছিপছিপে চেহারা! রইল প্রণালী।
হলুদ-চা
দু’কাপ জল গরম করে তাতে দু’চামচ আদা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। সেই জল ছেঁকে নিয়ে তাতে এক চা চামচ হলুদ, লেবুর রস, মধু এবং বিটনুন মিশিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এ বার বোতলে ভরে নিয়ে সেই জল সারা দিন অল্প অল্প করে খেতে থাকুন।
ফলের ডিটক্স
পাতিলেবু, কমলালেবু, সরু করে কাটা শসা, আদা কুচি এবং পুদিনা পাতা প্রয়োজন এই পানীয় তৈরির জন্য। একটা বড় মুখওয়ালা কাচের বোতলে জল নিয়ে সব উপকরণগুলি দিয়ে দিন। সারা রাত ফ্রিজে রাখুন। এ রকম ২টি বোতলে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে সারা দিন একটু করে চুমুক দিন। আপনি চাইলে আপেল, তরমুজ, আঙুর কিংবা যে কোনও মরসুমি ফলও দিতে পারেন।
জিরের ডিটক্স
জিরে বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। আর শরীরের বিপাক হার ঠিক থাকলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। হজমশক্তিও বৃদ্ধি পাবে এতে। ১ চা চামচ সাদা জিরে, দেড় কাপ জল, আধ চা চামচ মধু নিন। একটি পাত্রে আগে শুকনো করে জিরে ভেজে নিন। কম আঁচে ৫-৬ সেকেন্ড রেখে এ বার জল দিয়ে দিন। এ বার ঢেকে নিয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটতে দিন। আঁচ নিভিয়ে খানিক ঠান্ডা বোতলে ভরে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy