ভালবেসে প্রেমাস্পদের নাম হাতে লিখে রাখলেন, অথচ বছর গড়াতেই না গড়াতেই তাঁর বিয়ে হয়ে গেল অন্য কারও সঙ্গে! ছবি: সংগৃহীত।
কিছু কিছু সম্প্রদায় লোকাচার হিসেবে বা ধর্মীয় কারণে শরীরে বিভিন্ন অংশে এই উল্কি করায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্যাটুর কার্যকারণ বদলে গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন অনেকে, কেউ আবার ঘাড়ে, হাতে বা বাহুতে, কখনও বিভিন্ন নকশায়, কখনও বা প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন।
ভালবেসে প্রেমাস্পদের নাম হাতে লিখে রাখলেন, অথচ বছর গড়াতেই না গড়াতেই তাঁর বিয়ে হয়ে গেল অন্য কারও সঙ্গে! অগত্যা হয় ট্যাটু মুছে ফেলতে হবে, নইলে সেই ট্যাটুকে ভরাট করতে আরও কারসাজির আশ্রয় নিতে হবে। একেই হৃদয়ে ব্যথা, তার উপর আরও বেশি ট্যাটু করিয়ে অতিরিক্ত ব্যথা পাওয়ার চেয়ে ট্যাটু তুলে ফেলাই শ্রেয়! ইদানীং উন্নত ধরনের লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে ট্যাটু তুলে ফেলা সম্ভব। ট্যাটু তোলার আগে কী কী মাথায় রাখতেই হবে?
১) ট্যাটু করাতে যতটা ব্যথা হয়, তোলার ক্ষেত্রে কিন্তু আরও বেশি ব্যথা হয়। তাই সবটা বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। বিশেষত কোমল জায়গায় করা ট্যাটু তুলতে ব্যথা আরও বেশি হয়। তাই সেই জায়গায় অ্যানাসথেশিয়া করিয়ে ট্যাটু তোলাই শ্রেয়।
২) এক দিনে যাবেন আর ট্যাটু তুলে বাড়ি চলে আসবেন— ব্যাপারটা ততটাও সহজ নয়। ট্যাটু তুলতে প্রায় ৮ থেকে দশটি সেশন লাগে। ট্যাটু কত বড়, তাতে আদৌ রঙের ব্যবহার আছে কি না— এই সবের উপর নির্ভর করে যে, তা তুলতে কতটা সময় লাগবে।
৩) লেজার প্রক্রিয়ার পর যে একেবারে ট্যাটু উঠে যাবে তেমনটা নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটু দাগ থেকে যায়।
৪) ট্যাটু তোলার পর সঠিক পরিচর্যা না করলে তা থেকে অ্যালার্জি, র্যাশ, জ্বালা, লালচে ভাব দেখা যায়। তাই যেখান থেকে ট্যাটু তুলছেন সেখান থেকে বিস্তারিত পরিচর্যার বিষয়টি জেনে নিতে হবে।
৫) ট্যাটু করতে যেমন খরচ, ট্যাটু তুলতে তার থেকেও বেশি পয়সা খসে। তাই খরচের দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy