ফাউন্ডেশনের কোন রং আপনার জন্য সঠিক, বুঝবেন কী করে?
লাল লিপস্টিক আর স্মোকি আই-এর কেরামতিতে পুরো চেহারাই বদলে যেতে পারে। নেটমাধ্যমের ভরসায় টুকিটাকি মেক আপ সম্পর্কে জ্ঞান অনেকেরই থাকে। কিন্তু জানেন কি মেক আপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি কী? বেস মেক আপ যদি নিখুঁত ভাবে না করা হয় তা হলে কখনওই দেখতে সুন্দর লাগবে না। আর নিখুঁত বেস মেক আপের জন্য জরুরি ঠিকঠাক ফাউন্ডেশন লাগানো। কয়েকটা সাধারণ নিয়ম কিন্তু ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রে মেনে চলতেই হবে।
১) ফাউন্ডেশনের কাজ স্কিন টোন সমান দেখানো। এর ব্যবহারে দাগ, ছোপ ঢেকে যায়। কিন্তু যদি পুরো মুখে ফাউন্ডেশন লাগানোর পর দেখেন নিজের মুখটাই অন্য রকম দেখতে লাগছে তা হলে আপনি ভুল করছেন। রোদে বেরোলে মনে হবে মাস্ক লাগিয়েছেন মুখে। এ ক্ষেত্রে পরিমাণটা কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
২) গায়ের রঙের সঙ্গে রং মিলিয়ে সঠিক ফাউন্ডেশনটি কিনতে হবে। কব্জির কাছে শিরার রং-ই বলে দিতে পারে আপনার ত্বকের ধরন। শিরা নীলচে হলে আপনার ত্বক শীতল প্রকৃতির। শিরার রং সবুজ হলে বুঝবেন, আপনার ত্বক উষ্ণ প্রকৃতির। আর শিরার রং যদি সঠিক ভাবে বোঝা না যায়, তা হলে বুঝবেন আপনার ত্বক উষ্ণ বা শীতল নয়, মাঝামাঝি প্রকৃতির। আপনার ত্বকের ধরন জেনে নিলেই ফাউন্ডেশন বাছাই করার ক্ষেত্রে আর সমস্যা থাকে না।
৩) তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল-ফ্রি, হালকা, ম্যাট ফিনিশের ফাউন্ডেশন বেছে নিন। ত্বক শুষ্ক হলে বেছে নিতে হবে ভারী এবং হাইড্রেটিং ফর্মুলার ফাউন্ডেশন। স্পর্শকাতর ত্বক হলে বেছে নিন হাইপো-অ্যালার্জেনিক ফাউন্ডেশন, এড়িয়ে চলুন ভারী ধরনের ফর্মুলা।
৪) একেক ধরনের ফাউন্ডেশন একেক রকম রূপটানের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই আগে থেকে স্থির করে নিন, আপনি ঠিক কেমন মেক আপ করতে চাইছেন এবং সেই মতো বেছে নিন। ম্যাট, সেমি-ম্যাট, ডিউয়ি এবং ইউলুমিনেটিং বা শিয়ার ফিনিশের ফাউন্ডেশন বাজারে পাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy