ছবি: সংগৃহীত
রাত পোহালেই নতুন বছর। এই বছরের যাবতীয় পুরনোকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। বছরের এই প্রথম দিনটি মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উদ্যাপন করে থাকেন। তবে জানেন কি এই বর্ষবরণের উদ্যাপন কয়েকটি দেশে একেবারে আলাদা। অদ্ভুত কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে আহ্বান জানান এই দেশগুলির মানুষেরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক নববর্ষের উদ্যাপন কোন দেশে ঠিক কেমন।
ডেনমার্ক
ডেনমার্কের মানুষ সারা বছর অব্যবহৃত নতুন প্লেট সংগ্রহ করতে থাকেন। তারপর নববর্ষের পরিবার ও অতিথিদের সামনে সেগুলি ভেঙে ফেলেন। নতুন বছরে ঘরে সুখ সমৃদ্ধি যাতে বজায় থাকে সেই জন্য তাঁরা এই অদ্ভুত নিয়ম পালন করেন।
জাপান
জাপানে নতুন বছরের শুরুটা হয় একেবার ভিন্ন ভাবে। নববর্ষের রাতে জাপানের রাস্তায় ১০৮ বার ঘণ্টাধ্বনি করা হয়। এটি বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গে জড়িত একটি ঐতিহ্য। জাপানের মানুষ বিশ্বাস করেন নতুন বছরের শুরুতে ঘণ্টা বাজানোর ফলে মানুষের মন থেকে সমস্ত পাপ দূর হয়ে যায়।
ইটালি
ইটালিতে নববর্ষের দিন সেখানকার মানুষ ঘরের পুরনো জিনিসপত্র এবং আসবাবপত্র ফেলে দেন। ইটালির মানুষ কি তবে বিশ্বাস করেন ‘জীর্ণ পুরাতন যাক ভেসে যাক’? হতেই পারে।
ব্রাজিল
ব্রাজিল বা মেক্সিকোর মতো দেশগুলিতে নববর্ষ উদ্ যাপনের রীতিটা খুব মজার। এই দেশে এই বিশ্বাস প্রচলিত যে একজন ব্যক্তির অন্তর্বাসের রঙের উপর নির্ভর করে কেমন যাবে আগামী বছর। অর্থাৎ কেউ যদি চায় যে তাঁর নতুন বছরে একটি প্রেম হোক তাহলে তিনি লাল রঙের অন্তর্বাস পরেন। আবার কেউ যদি চেয়ে থাকেন যে নতুন বছর তাঁর আর্থিক ভাবে উন্নতিলাভ হোক, সে ক্ষেত্রে তিনি হলুদ রঙের অন্তর্বাস পরে থাকেন।
আর্জেন্টিনা
এই দেশেও বর্ষবরণের রীতি খানিক ইটালির সঙ্গে মিলে যায়। তবে ইটালির মতো পুরনো জিনিসপত্র নয়, আর্জেন্টিনার মানুষ বাড়িতে থাকা পুরনো নথি এবং কাগজপত্র ফেলে দেয়। পুরনো সব কিছুকে পিছনে ফেলে তাঁরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াতেই বেশি বিশ্বাসী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy