Advertisement
১৮ মে ২০২৪
Air India

মূত্রত্যাগের পর কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমা চান! কী বলেন প্রস্রাবকাণ্ডে অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্র?

অভিযোগকারিণীর দাবি, যৌনাঙ্গ প্রদর্শন ও প্রস্রাব করার অভিযোগ শুনে বিমানকর্মীরা শঙ্করকে তাঁর সামনে নিয়ে আসেন। তার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত যুবক। পোশাকের দামও দিতে চান।

যৌনাঙ্গ প্রদর্শনের পর কী করেন অভিযুক্ত?

যৌনাঙ্গ প্রদর্শনের পর কী করেন অভিযুক্ত? ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৩৫
Share: Save:

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সহযাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার পর সেই মহিলার সামনে বসানো হয় অভিযুক্ত শঙ্কর মিশ্রকে। আর তখনই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিযুক্ত যুবক। কাঁদতে কাঁদতে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন তিনি। টাটা গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে লেখা চিঠিতে এমনই জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। ৭০ বছর বয়সি বৃদ্ধা জানিয়েছেন, শঙ্করের এমন কাজ দেখে নিজেই চমকে যান।

২৬ নভেম্বর নিউ ইয়র্ক থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ করেন ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা। টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরনকে সরাসরি চিঠিও লেখেন তিনি। সেই চিঠিতেই গোটা ঘটনা বর্ণনা করেছেন অভিযোগকারিণী। তিনি জানান, যৌনাঙ্গ প্রদর্শন ও প্রস্রাব করার অভিযোগ শুনে বিমানকর্মীরা শঙ্করকে তাঁর সামনে নিয়ে আসেন। তার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন শঙ্কর। ক্ষমা চেয়ে তাঁকে অভিযোগ না জানানোর অনুরোধ করেন। কাঁদতে কাঁদতে শঙ্কর জানান, তিনি এক জন সংসারী মানুষ। চান না কোনও ভাবেই তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের উপর এই ঘটনার প্রভাব পড়ুক।

দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ করেন ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা।

দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে শঙ্কর মিশ্র মত্ত অবস্থায় তাঁর সামনে যৌনাঙ্গ প্রদর্শন করেন ও তাঁর গায়ে প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ করেন ৭০ বছর বয়সি এক মহিলা। ছবি: সংগৃহীত

চিঠিতে মহিলা আরও জানিয়েছেন, ঘটনার পর বিমানকর্মীরা তাঁর ফোন নম্বর শঙ্করকে দেন, যাতে তিনি পোশাকের দাম ও পোশাক পরিষ্কার করার খরচ মিটিয়ে দেন। অভিযোগকারিণী অবশ্য সেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, শঙ্কর মুম্বইয়ের বাসিন্দা। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তিনি ‘নিখোঁজ’ বলে দাবি দিল্লি পুলিশের। আমেরিকার অর্থলগ্নিকারী সংস্থা ওয়েলস ফার্গোর ভারতীয় শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কাজ করেন শঙ্কর। সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর্মচারীদের আচরণের বিষয়ে নির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে তাদের। প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Air India Molestaion Urine
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE