তরুণ গগৈয়ের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে অসম কংগ্রেস।
মণিপুরে বিজেপি-র বিধায়ক ‘কেনাবেচার’ সমালোচনা করতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১০-এ রাজ্যসভা নির্বাচনে আমার নির্দেশে বিজেপির চার বিধায়ককে তুলে নিয়েছিল কংগ্রেস। হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও রকিবুল হুসেন ছিল তার নেপথ্যে।’’
পরিস্থিতি সামলাতে বিরোধী দলপতি দেবব্রত শইকিয়া বলেন, ‘‘তখন আমরা ভুল করেছিলাম। সে জন্যই এখন শাস্তি পাচ্ছি। বিজেপি যেন একই ভুল না করে।’’ হিমন্তের দিকেই তোপ দেগে রকিবুল হুসেনও বলেন, ‘‘মহাপুরুষরা বলেছেন ভালর সঙ্গে থাকলে ভাল হয়, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। আমি সঙ্গদোষে পড়ে খারাপ কাজে জড়িয়েছিলাম। েস জন্য অনুতপ্ত। তাই ওই সঙ্গ ত্যাগ করেছি।’’
হিমন্তবিশ্ব বলেন, ‘‘সকলেই জানে কংগ্রেসে থাকলেও আমি গগৈয়ের কথা মতো কাজ করতাম না।’’ রাজ্য বিজেপি দাবি করেছে, বিধায়ক কেনাবেচার মতো বেআইনি, অসাংবিধানিক কাজের কথা স্বীকার করার পরে গগৈয়ের আত্মসমর্পণ করা উচিত। রাষ্ট্রীয় যুব মোর্চা গগৈকে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল মহন্তের দাবি— একই রকম কাণ্ড ঘটিয়ে জেলে গিয়েছিলেন শিবু সোরেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হয়েছিল। তা হলে গগৈ নিজে দোষ স্বীকারের পর তাঁর বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা হওয়া দরকার।
এ দিকে, মণিপুরে আস্থা ভোটের আগে দলের ও শরিক বিধায়কদের সে রাজ্যে রাখার ভরসা পাচ্ছে না বিজেপি। তাই গত কাল থেকে গুয়াহাটির একটি হোটেলে ২০টি ঘর ভাড়া করে সে রাজ্যের বিধায়কদের ‘নজরবন্দি’ রেখেছে বিজেপি।
অসম, অরুণাচলের পরে মণিপুরেও কংগ্রেসের ভরাডুবি হওয়ায় ফের উত্তর-পূর্বের দায়িত্ব থেকে সি পি জোশীকে সরানোর দাবি জোরদার হয়েছে। অসমের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ বিধানসভা ভোটের আগে থেকে জোশীকে সরানোর দাবি জানালেও কান দেননি হাইকম্যান্ড।
মেঘালয় ও মিজোরামে নির্বাচন আসন্ন। অরুণাচলের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতি পাদি রিচো বলেন, ‘‘এর পরও জোশীকে দায়িত্ব থেকে না সরালে মেঘালয়-মিজোরামও হাতছাড়া হবে। আমি তাঁর বিরুদ্ধে রাহুল গাঁধীকে অভিযোগ জানানোয় তিনি নির্বাচনের আগে মণিপুরে না গিয়ে দিল্লিতে বলে আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরাতে ব্যস্ত ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy