সল্টলেকের বহু রাস্তা তাপ্পি মারার পরেও ফের বেহাল দশায় ফিরে গিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
বছরখানেক ধরে বেহাল অবস্থায় থাকার পরে রাস্তার হাল ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে বিধাননগরে। আগামী আর্থিক বছরের বাজেটে এই বাবদ ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সল্টলেক এবং রাজারহাটের বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা সারাইয়ের কাজ হবে বলে জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ।
অতিবৃষ্টি-সহ নানা কারণে গত বছর সল্টলেক ও রাজারহাটের বিভিন্ন রাস্তা ভেঙেচুরে যায়। গত এক বছর ধরে ওই সব রাস্তা সেই ভাবেই ছিল। গাড়ি চলাচলের জন্য কোথাও কোথাও কোনও মতে তাপ্পি দেওয়া হলেও বহু রাস্তারই এখন শোচনীয় হাল। গত বার বাজেটের পরে পুর কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, বর্ষা কেটে গেলে পুজোর পরে রাস্তা সারানোর কাজ শুরু হবে। কিন্তু পুরসভা সূত্রের খবর, আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় রাস্তার কাজ ভাল ভাবে করা যায়নি।
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, কংক্রিট ও অন্যান্য রাস্তার জন্য ২৫ কোটি এবং তাতে বিটুমিনের প্রলেপ দেওয়ার জন্য ১৭ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই ৪২ কোটির বাইরে পুরসভার বিভিন্ন ধরনের আয় থেকে রাস্তা তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হবে। সাহায্য নেওয়া হবে সরকারি তহবিলেরও। এ নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের।
উল্লেখ্য, সল্টলেকের বহু রাস্তা তাপ্পি মারার পরেও ফের বেহাল দশায় ফিরে গিয়েছে। এবড়োখেবড়ো পথে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকছে সব সময়ে। রাস্তা সারাতে এর আগে পুরসভার তরফে ১২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। সেই প্রকল্প সরকারের তরফে মঞ্জুর করা হলেও তার টাকা এখনও এসে পৌঁছয়নি বলেই দাবি পুর কর্তৃপক্ষের। অন্য দিকে, বকেয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় মাঝে ঠিকাদারেরাও দরপত্রে অংশ নিতে চাইছিলেন না। এ হেন নানা কারণে রাস্তার কাজ খুব বেশি এগোয়নি বলেই দাবি পুর আধিকারিকদের একাংশের।
রাস্তা বিভাগের দায়িত্বে থাকা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল এ দিন জানান, কাজ দ্রুত শুরু করার চেষ্টা হচ্ছে। ঠিকাদারেরা দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন। প্রচুর ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আগামী অর্থবর্ষে বেশ কিছু খাতে পুর কোষাগারে টাকা আসবে বলে আমরা আশাবাদী। যেমন, ভূগর্ভে কেব্ল বসানোর সংস্থাগুলি রাস্তা কাটার জন্য পুরসভার ঘরে যে অর্থ জমা রাখবে, তা থেকে ভাল আয় হবে। সেই টাকাও রাস্তা সারাইয়ে ব্যয় করা হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy