এ বার রেলের তৎকাল টিকিটের মতোই শেষ মুহূর্তে বাংলো বুকিংয়ের সুযোগ। সৌজন্যে রাজ্য বন উন্নয়ন নিগম। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পর্যটকদের জন্য ডুয়ার্সের সামসিং বাংলোয় এমন সুযোগ চালু হতে চলেছে। এ জন্য নিগমের বাংলোর একটি ঘর নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, ওই ঘর রাত্রিবাসের ৩-৫ দিন আগে আগ্রহীরা বুকিং করাতে পারবেন। তারপরেও যদি ঘর ফাঁকা থাকে, তা হলে ২৪ ঘণ্টা আগে কিংবা বেড়াতে গিয়ে বাংলো চত্বরে বসেই ওই ঘর বুকিং করানোর সুযোগ মিলবে। নয়া আর্থিক বছরে এপ্রিল থেকে নিগমের রাজ্যের সব বাংলোতেই ‘জরুরি’ ভিত্তিক ভাবে মোট শয্যার ২০ শতাংশ একই ভাবে সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ৩২টি স্পটে ৯০টির বেশি বাংলো রয়েছে।
বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, “একেবারে শেষ মুহূর্তে অনেকে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা নেন। অনেকে কোথাও বেড়াতে গিয়ে পছন্দের জায়গা না পেয়ে আক্ষেপ করেন। তাঁদের কথা ভেবেই ১ এপ্রিল থেকে জরুরি ভিত্তিক বুকিংয়ের আওতায় আমাদের সমস্ত বন বাংলোর কুড়ি শতাংশ নির্দিষ্ট রাখা হচ্ছে।”
নিগম সূত্রের খবর, ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে নজর কাড়া ওই বাংলো তৈরি করা হয়েছে। ঘর রয়েছে ৮টি। তার মধ্যে ৭টি অনলাইনে বুকিং করানো যাবে। একটি ঘর শেষ মুহূর্তে বুকিং হবে। তবে রাত্রিবাসের জন্য মাথা পিছু কত টাকা ভাড়া দিতে হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
নিগমের এক কর্তা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে। এতে শুধু সামসিং নয়, সুনতালেরখোলা ও রকি আইল্যান্ডের মতো জায়গাগুলি বেড়ানোর আগ্রহ বাড়বে। নতুন বাংলোয় রাত কাটিয়ে কাছেই স্পটগুলি বেড়ানোর সুযোগ মিলবে। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স আসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট স্যানাল বলেন, “ভাল পদক্ষেপ। এতে বুকিংয়ের সুযোগ যেমন বাড়ছে, তেমনই নিগমের আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে।”
নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত এই ঘরগুলি অনলাইনে বুক করা যাবে না। তবে পরে অনলাইনেও শেষ মুহূর্তে এই রকম বুকিং করা যাবে। তা ছাড়া ‘জরুরি’ বুকিংয়ে তৎকাল টিকিটের মতো বাড়তি খরচও লাগছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy