স্ট্যাম্প ও কোর্ট-ফি বিক্রিতে কালোবাজারির অভিযোগে আইনজীবীদের বিক্ষোভে শুক্রবার দুপুরে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ধুন্ধুমার চলল শিলিগুড়ি ট্রেজারি অফিসে।
এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ শিলিগুড়ি আদালতের একদল আইনজীবী ট্রেজারি অফিসারের ঘরে বিক্ষোভ দেখাতে যান। ট্রেজারি অফিসারের মদতেই কালোবাজারি চলছে বলে আইনজীবীরা অভিযোগ করেন। আইনজীবীদের কয়েকজন ট্রেজারি অফিসারকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে অভিযোগ করেন। অভিযোগ শুনে পাল্টা তেড়ে ওঠেন ট্রেজারি অফিসারও। হাতাহাতির উপক্রম হয়। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে আশঙ্কা করে আইনজীবীরা নিজেরাই বিক্ষোভ থামিয়ে দেন। অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে শিলিগুড়ি আদালতে স্ট্যাম্প পেপার এবং কোর্ট ফি পেতে হলে দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে বিচারপ্রার্থী এবং আইনজীবীদের। দিনভর লাইনে অপেক্ষার পরে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের। মামলা রুজু করতে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। হলফনামা দায়ের করতে স্ট্যাম্প পেপার প্রয়োজন হয়। এই দুটি ছাড়া নতুন মামলা দায়ের করা তো বটেই পুরোনো মামলার কাজ চালানোও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিক্ষোভে থাকা শিলিগুড়ি বার আ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সম্পাদক চন্দ দে অভিযোগ করে বলেন, ‘‘দশটাকার স্ট্যাম্প পেপার কিছু জায়গায় প্রায় ৫০ টাকার বিক্রি হচ্ছে।’’
ট্রেজারি অফিস থেকে স্ট্যাম্প পেপার এবং কোর্ট ফি সরবারহ করা হয়। গত ১০ জুন থেকে দু’টিই সরবারহ বন্ধ রয়েছে বলে দাবি। আইনজীবীদের অভিযোগ, কালোবাজারিকে মদত দিতেই ট্রেজারি অফিস থেকে সরবারহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেজারি অফিসের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, দায়িত্বে থাকা এক কর্মীর অসুস্থতার কারণেই সরবারহ প্রক্রিয়া ব্যহত হয়েছে। ট্রেজারি অফিসার সরজিত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আজ থেকে অন্য এক কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। কালোবাজারিতে মদতের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy