Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Moonlight Tea plucking

চাঁদের আলোয় ভাসা বাগানে চা পাতা তোলা 

৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই বাগানে এ দিন সন্ধ্যা থেকে চাঁদের আলোয় এই চা পাতা তোলার কাজ শুরুর কাজ শুরু হয়।

মুনলাইট টি প্লাকিং চলছে মাঝেরডাবরি চা বাগানে। ছবি: নারায়ণ দে।

মুনলাইট টি প্লাকিং চলছে মাঝেরডাবরি চা বাগানে। ছবি: নারায়ণ দে। narayanapdj@gmail.com

পার্থ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:২৮
Share: Save:

আকাশে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমার চাঁদ। যার আলোর ছটায় উজ্জ্বল গোটা বাগান। আর সে আলোতেই শুক্রবার ‘মুনলাইট প্লাকিং’ হল আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি
চা বাগানে। চাঁদের আলোয় এই চা পাতা তোলার সাক্ষী থাকলেন প্রচুর মানুষও।

মাঝেরডাবরি চা বাগানে ‘মুনলাইট প্লাকিং’ এই প্রথম নয়। সূত্রের খবর, দার্জিলিং পাহাড় বাদে উত্তরবঙ্গে ডুয়ার্স কিংবা তরাইয়ের প্রথম কোনও চা বাগান হিসাবে আলিপুরদুয়ার জেলার এই বাগানেই পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় প্রথম ‘মুনলাইট প্লাকিং’ শুরু হয়েছিল। সেটা ছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাস। তার পর থেকে শুক্রবারের পূর্ণিমা মিলিয়ে এ বাগানে চার বার চাঁদনি রাতে চা তোলা হল।

৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই বাগানে এ দিন সন্ধ্যা থেকে চাঁদের আলোয় এই চা পাতা তোলার কাজ শুরুর কাজ শুরু হয়। বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ বার এ ধরনের চা পাতা তোলার কাজে প্রায় ২২৫ জন শ্রমিক যুক্ত ছিলেন। এ বার আড়াইশোর বেশি শ্রমিক যোগ দেন। আশপাশে জ্বালানো হয় প্রচুর মশাল। শ্রমিকদের টুপিতেও ছিল আলোর ব্যবস্থা। চাঁদের আলোর পাশাপাশি, এমন আলোর মনোরম এক পরিবেশের সাক্ষী হতে প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হন। রাত প্রায় সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলে ‘মুনলাইট প্লাকিং’। আর অনেকেই শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে সেই চা পাতা তোলার কাজ উপভোগ করেন।

তবে শুধু ‘মুনলাইট প্লাকিং’-ই নয়, ‘হোয়াইট টি’-সহ বিভিন্ন ধরনের চা পাতা তৈরি করে এর আগেও নজির গড়েছে আলিপুরদুয়ারের এই চা বাগান। তবে বাগান সূত্রের খবর, ‘মুনলাইট প্লাকিং’ থেকে তৈরি হওয়া চা পাতার চাহিদা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশ বেড়েই চলছে। মাঝেরডাবরি চা বাগানের ম্যানেজার চিন্ময় ধর বলেন, “মুনলাইট প্লাকিং থেকে তৈরি হওয়া চা পাতার চাহিদা মুম্বই, দিল্লি, কলকাতা কিংবা নাগপুর তো বটেই, তার সঙ্গে অন্যান্য আরও অনেক শহরেই বাড়ছে। আর সে কথা মাথায় রেখে এ দিনের পূর্ণিমায় এই প্লাকিংয়ের এলাকা কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের ধারণা, এ দিন যে পরিমাণ প্লাকিং হয়েছে, তাতে প্রায় দেড় হাজার কেজি চা পাতা তৈরি হবে। চাহিদা অনুযায়ী, যা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Alipurduar Tea Garden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE