অবশেষে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেলেন মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কালাম মহম্মদ আনুয়ারুজ্জামান।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার পরিচালন কমিটির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এখানেই আনুয়ারুজ্জামানের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাণীবিদ্যার অধ্যাপক তপনকুমার মণ্ডলকে।
পরিচালন সমিতির এই জরুরি বৈঠককে ঘিরেও বির্তক তৈরি হয়েছে। পরিচালন সমিতির সদস্যদের একাংশের অভিযোগ, এদিনই বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠকের কথা জানানো হয়। ফলে অধিকাংশ সদস্য আসতে পারেননি। কলেজে পরিচালন সমিতির সদস্য রয়েছেন মোট ১২ জন। তার মধ্যে এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন সাতজন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় অধ্যক্ষ আনুয়ারুজ্জামানের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কৃষ্ণেন্দুবাবুর দাবি, নিয়মানুযায়ী সব হয়েছে।
মালদহ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আব্দুল কালাম মহম্মদ আনুয়ারুজ্জামান বলেন, ‘‘আমার ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমাদেরই এক সহকর্মীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিচালন সমিতির জরুরি বৈঠকের কথা এদিনই জানতে পেরেছি। এর বাইরে আমার বলার কিছু নেই।’’
গত ৬ জানুয়ারি অধ্যক্ষ পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুবাবুকে পিওনের মাধ্যমে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও মেল করে ইস্তফাপত্রের প্রতিলিপি পাঠান। ৯ জানুয়ারি ইস্তফাপত্রটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দুবাবু।
গত ১০ জুলাই তিনি অধ্যক্ষ পদ ছাড়তে চেয়ে পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন। তখন শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের চাপেই এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর অনুরোধে তখন পদে থেকে যান তিনি।
এবার অধ্যক্ষের পাশে পার্থবাবুর না দাঁড়ানো নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অধ্যক্ষ আনুয়ারুজ্জামানের ইস্তফার বিষয়টি আগাম শিক্ষামন্ত্রীকে না জানানোয় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপনবাবু ১৯৯৯ সাল থেকে এই কলেজে অধ্যাপনা করছেন। তপনবাবু মালদহের গাজলের বাসিন্দা। তিনি ওয়েবকুটার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বাম আমলে মালদহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তপনবাবু বলেন, ‘‘পরিচালন সমিতির বৈঠকে আমাকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ হলে আমি সরে যাব। এর বেশি কিছু আমি এখন বলব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy