মন্ত্রীত্ব পেলেন সত্যজিৎ বর্মণ।
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নাম জড়ানোর পর এ বার মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী। এত দিন শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ বার তাঁর জায়গায় এলেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মণ। শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরেই সত্যজিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দিদি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আমাকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞ।’’
রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন সত্যজিৎ। এর পর ২০১৩ সালে প্রথম বার কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েন তিনি। ওই ভোটে হেরে যান সত্যজিৎ। এর পর ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনে জয়ী হয়ে সত্যজিৎ রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হন। গত বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদ থেকে সত্যজিতের টিকিট পাওয়া চমকপ্রদ ব্যাপার ছিল। কিন্তু তার চেয়েও বড় চমক ছিল, নির্বাচনে তাঁর জিতে যাওয়া। ওই বছরেই জেলায় দলের চেয়ারম্যান করা হয় তাঁকে।
সদ্য সত্যজিৎকে জেলায় দলের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণা করার পর থেকেই সত্যজিৎকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয় জেলা রাজনীতিতে। বুধবার সেই জল্পনাই সত্যি হল।
সত্যজিৎ যে দায়িত্ব পেলেন, সেই স্কুলশিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বভার এত দিন উত্তরবঙ্গেরই আর এক বিধায়ক পরেশের হাতে ছিল। কিছু দিন আগেই বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি গিয়েছে। পরেশকে বার দুয়েক সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে। এ নিয়ে শাসকদলের অন্দরে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল। তার পরেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় পরেশের জায়গায় স্থান পেলেন সত্যজিৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy