মিষ্টিমুখ: বরো চেয়ারম্যান হওয়ার পরে নিখিল সহানি। —নিজস্ব চিত্র।
ক’দিন আগে কংগ্রেসের সমর্থনে বাজেট পাশ করিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয় ঘটকের ছেড়ে যাওয়া বোরো চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেলেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। সিপিএম ও কংগ্রেসের দুই প্রার্থী সমান সমান ভোট পেলেন। তার পরে টস জিতে চেয়ারম্যান হলে তৃণমূলের নিখিল সহানি।
অথচ যে কংগ্রেসের সমর্থনে অশোক বাজেট পাশ করান, তাদের এ দিন পাশে পেলে তাঁর বরো হারানোর কথা নয়। কারণ, ১০ সদস্যের এই বোরোতে তৃণমূলের কাউন্সিলর ৪, বামেদের ৪ এবং কংগ্রেসের ২। বাম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি করেছিল কংগ্রেস। তবু গোপন ভোটে ফলাফল দাঁড়ায় ৫-৫। অর্থাৎ বাম বা কংগ্রেসের এক জনের ভোট পড়েছে তৃণমূলের বাক্সে।
অশোক অবশ্য মনে করছেন, তাঁদের ক্ষতি হয়নি। মেয়র বলেন, ‘‘ যে কোনও কারণেই হোক কংগ্রেসের এক জন আমাদের ভোট দেননি।’’ কিন্তু, কংগ্রেসেরই যে এক জন ভোট দেননি, কী ভাবে এত নিশ্চিত হচ্ছেন? তা খোলসা করতে পারেননি মেয়র। যদিও নাম না-করলেও তাঁর অভিযোগের তির কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা সুজয় ঘটকের দিকে। সুজয়ই অশোকবাবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করায় বরো চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। মেয়রের অভিযোগ, এক জন কংগ্রেস কাউন্সিলর কিছু দিন ধরে তৃণমূলের সুরে সুর মেলাচ্ছেন।
আরও পড়ুন...
দ্বন্দ্ব মেটাতে চান শুভেন্দু
সুজয় অবশ্য বলেন, ‘‘দলের নির্দেশ ছিল সিপিএমকে সমর্থন করায়। তা অমান্য করিনি। তবে যিনি কংগ্রেসের সৌজন্যে বাজেট পাশ করিয়েছেন, তাঁর কংগ্রেসকে দোষারোপের অধিকার নেই।’’
এই ঘটনায় বোর্ড দখলের স্বপ্ন উস্কে দিয়েছে বলে মনে করছেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার। এমনিতেই ৪৬ সদস্যের পুরসভায় (নির্দল কাউন্সিলর অরবিন্দ ঘোষের মৃত্যুতে একটি পদ এখন খালি) এক বাম কাউন্সিলর শিবির বদল করায় তৃণমূল বেড়ে হয়েছে ১৮ এবং বামেরা কমে দাঁড়িয়েছে ২২-এ। কংগ্রেসের সদস্য ৪ ও বিজেপির ২। তৃণমূলের এক নেতা জানান, এক বাম নেতা ক’দিন আগেও দাবি করেছিলেন তাঁর সঙ্গে বিরো ধীদের অনেকে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। সেই দাবি কতটা অসার, তা এ দিন স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy