নিজের ছবি ডাকটিকিটে দেখতে চান? অথবা নিজের তোলা কোনও ছবি দিয়ে ডাকটিকিট ছাপাতে চান? তবে আগামী ৩০ অক্টোবরের পরে দার্জিলিঙে উপস্থিত থাকতে হবে। দার্জিলিঙের বাসিন্দাদের এমনই সুযোগ করে দিয়েছে ডাক বিভাগ। মাত্র ৩০০ টাকা জমা দিলেই নিজের পছন্দের ছবি ছাপা ৫ টাকার ১২টি ডাকটিকিট মিলবে। সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে চিঠি লেখার আগ্রহ তৈরি করতেই মুম্বই, কলকাতার পরে এ বার দার্জিলিঙেও এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে ডাকবিভাগের তরফে জানানো হয়েছে।
‘আমার স্ট্যাম্প’ নামে এই প্রকল্পের সঙ্গেই একই দিনে ডাকটিকিটের প্রদর্শনীও শুরু হচ্ছে দার্জিলিঙে। জেলা পোস্ট অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ১১ বছর পরে ফের দার্জিলিঙে প্রদর্শনী হতে চলেছে। ক্যাপিটাল হলে দু’দিন প্রদর্শনী চলবে। প্রদর্শনীতে অন্তত ১৬০০ ডাকটিকিট থাকবে। ডাকবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, একসময়ে ফি বছর-ই দার্জিলিঙে প্রদর্শনীর আয়োজন হতো। ক্রমশ ডাকটিকিটির চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় দীর্ঘদিন সরকারি তরফেও প্রদশর্নীর আয়োজন করা হয়নি।
এক সময়ে শুধুমাত্র দার্জিলিং পোস্ট অফিস থেকেই মাসে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার ডাকটিকিট বিক্রি হতো বলে ডাক বিভাগ জানিয়েছে। এখন সেই বিক্রি এসে ঠেকেছে মাসে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকায়। বর্তমানে ই-মেল, মোবাইলে এসএমএস পাঠানো জনপ্রিয় হওয়ার হাতে লিখে চিঠি পাঠানোর প্রবণতা কমেছে বলে জানিয়েছেন, ডাক বিভাগের দার্জিলিঙের বিভাগীয় অধীক্ষ্যক সুভাষ ডার্নাল। তাঁর কথায়, “ইমেল, এসএমএসের জনপ্রিয়তা যত বেড়েছে, ততই পোস্টকার্ড ডাকটিকিটের বিক্রি কমেছে। সে কারণেই বাসিন্দাদের মধ্যে চিঠি লেখার প্রবণতা বাড়াতে নানা প্রকল্প শুরু করা হচ্ছে। ছাত্রদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে। ডাকটিকিটে পছন্দের ছবি ছাপার সুযোগ দেওয়া হবে।”
ডাকবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘মাই স্ট্যাম্প’ প্রকল্পে বাসিন্দারা নিজের বা পরিবারের সদস্যদের ছবিও দিতে পারবেন। সেই ছবি ডাকটিকিটের এক অংশে ছাপা হবে। অন্য অংশে থাকবে ডাক বিভাগের লোগো বা ছবি। ৩০০ টাকা জমা দিলে একপাশ ফাঁকা ডাকটিকিটের প্রতিলিপি বাসিন্দাদের দেওয়া হবে। ফাঁকা অংশে ছবি লাগিয়ে জমা দেওয়ার পরে, ডাকবিভাগ নতুন ভাবে নকশা করে সেই টিকিট ছাপিয়ে ফেরত দেবে। এই প্রকল্পের কোনও বাধাধরা সময়সীমা নেই, বছরের যে কোনও কাজের দিন-ই নিজের অথবা পছন্দের ছবি দিয়ে ডাকটিকিট ছাপানোর সুযোগ পাবেন বাসিন্দারা।
আগামী ৩০ অক্টোবর থেকেই পড়ুয়াদের মধ্যে চিঠি লেখা, ডাকটিকিটে আঁকা, কু্যইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করেছে ডাকবিভাগ। দার্জিলিঙের ডাক টিকিট সংগ্রাহক উদয়মানি প্রধান বলেন, “প্রতি বছর প্রদর্শনী এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে ভাল হয়। তা ছাড়া নিজের পছন্দের ছবি ডাকটিকিটে ছাপার সুযোগ থাকলে, তা বাড়তি আগ্রহ তৈরি করবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy