Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

০৫ মে ২০২৪ ই-পেপার

Subrata Bhattacharya: কলকাতা বললে আমার প্রথমে মোহনবাগানের কথাই মনে পড়ে

সাতের দশকের অশান্ত সময়ে কলকাতায় অনেক সমস্যা থাকলেও মোহনবাগানের ফুটবলার বলে সব কিছু থেকেই ছাড় পেয়ে যেতাম।

সুব্রত ভট্টাচার্য
কলকাতা ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:২৩

এখন গল্ফগ্রিনে থাকলেও আগে আমি থাকতাম শ্যামনগরে। অনুশীলনে আসার জন্য সেখান থেকে ট্রেনে করে প্রথমে শিয়ালদহ। তারপর বাসে করে মোহনবাগান মাঠ। অনুশীলন শেষ করেই আবার বাস ধরে শিয়ালদহ হয়ে শ্যামনগরে ফেরা। এই ছিল আমার রোজকার রুটিন।

কিন্তু প্রতি দিন ট্রেনে যাতায়াত করলে ফুটবলার হওয়া মুশকিল। অনুশীলনে পুরোপুরি নিজেকে উজাড় করে দেওয়া কঠিন। এই কথা বুঝতে পেরে সেই সময় মোহনবাগান কর্তা ধীরেন দে আমাকে মহম্মদ হাবিব, আকবরদের সঙ্গে রয়েড স্ট্রিটের মেসে থাকতে বলেন। সেই শুরু কলকাতার প্রেমে পড়া। তবে, খেলা আর তার পর অফিস করে মেসে ফিরে আসা, এটাই ছিল রোজকার রুটিন। সঙ্গে ছিল হাবিবদার কড়া শাসন।

সাতের দশকের অশান্ত সময়ে কলকাতায় অনেক সমস্যা থাকলেও মোহনবাগানের ফুটবলার বলে সব কিছু থেকেই ছাড় পেয়ে যেতাম। খেলা আর মেসের বাইরে খুব বেশি বেরতাম না। মেসের আশেপাশের পরিবেশ যে খুব ভাল ছিল তেমনটাও নয়। তবে কাছের একটা স্কুলের ছাত্ররা আমাদের চিনত। আমাদের দেখলেই ওরা আনন্দ পেত। ছুঁতে চাইত। সেই আনন্দ ছিল অন্য রকম।

Advertisement

এখনও মনে আছে পার্ক স্ট্রিটের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় তখন ঊষা উত্থুপ গান গাইতেন। সেই গান শুনতে যেতাম আমরা। ব্যাস ওইটুকুই। রাত সাড়ে ৮টার আগেই মেসে ফিরে আসতাম। পার্ক স্ট্রিটের একটা জিনিস আমার এখনও খুব প্রিয়। ফ্লুরিজ। সময় পেলে বন্ধুদের সঙ্গে এখনও নিয়মিত যাই ওখানে। পার্ক স্ট্রিটের অন্য রেস্তরাঁয় এখন আর যাওয়া হয় না। গেলেও নৈশভোজ করি না।

কলকাতা বলতে এই ভাল লাগা যেমন আছে, তেমনই আছে একটা খারাপ লাগাও। মোহনবাগানের হয়ে খেলার সময় জিতলে যেমন আমাদের মাথায় তুলে রাখতেন সমর্থকরা, তেমনই হারলে ছিল কটূক্তি। খারাপ লাগত। তবে বড় দলের হয়ে খেলতে গেলে এগুলো মেনে নিতেই হবে। অনেক সম্মান পেয়েছি কলকাতার মানুষদের থেকে।

Advertisement