কলকাতায় আসা আমার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হাত ধরেই। প্রথম বছরেই ডুরান্ড, রোভার্স, জাতীয় লিগ, কলকাতা লিগ, আইএফএ শিল্ড জিততে পেরেছিলাম। এর ফলে গোয়া ছেড়ে কলকাতায় আসার সময় যে অনিশ্চয়তা ছিল সেটা কেটে যায় খুব তাড়াতাড়ি। তার পর ধীরে ধীরে এই শহরটাকে আপন করে নিয়েছি।
প্রথম থেকেই বাঙালি খাবার আমার খুব ভাল লাগতে শুরু করে। দক্ষিণ কলকাতার এক বিখ্যাত রেস্তরাঁয় আমি মাঝে মধ্যেই যেতাম। প্রথম দিকে সতীর্থরা থাকত সঙ্গে। তার পর পরিবারের সঙ্গেও বহু বার গিয়েছি। মিষ্টি কোনও দিনই বিশেষ পছন্দের ছিল না আমার। তবে খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর এখন মাঝে মাঝে রসগোল্লা খাই। বেশ ভাল লাগে।
এই শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক স্মৃতি। ম্যাচ জিতলে যেমন আনন্দ আছে তেমনই হারলে কটূক্তি। দুঃখ সবটাই আছে। আসলে এই শহরের সঙ্গে ফুটবল ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে। তাই এখনও আমার সবচেয়ে ভাললাগার জায়গা ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। প্রথম থেকেই জার্সির রং, এই ক্লাবের সংস্কৃতি সবকিছুর সঙ্গেই নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছি। এই ক্লাবে খেলতে খেলতেই জাতীয় দলের হয়ে খেলা। এটাও আমার কাছে একটা প্রাপ্তি। তাই এই শহরের বাইরে গেলেও আমার মন পড়ে থেকেছে ক্লাব তাঁবুতেই। আমার গোটা পরিবারও এখন কলকাতাতেই থাকে। ছেলেও বড় হচ্ছে এই শহরেই। আমার সব কিছুই এই শহরের জন্য। আর অবশ্যই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জন্য।
Advertisement