Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

১১ মে ২০২৪ ই-পেপার

সাইকেল চালিয়ে শহর ঘোরা এখনও মন পড়ে

আলিপুর থেকে সাইকেল চালিয়ে সাউথ ক্লাবে টেনিস খেলতে যেতাম। রাস্তাঘাট ছিল একেবারে ফাঁকা। এত ট্র্যাফিকের ঝক্কি ছিল না।

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়
কলকাতা ০৩ মার্চ ২০২১ ১৪:২০

জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

আমরা ছোটবেলায় আলিপুরে থাকতাম। সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে সাউথ ক্লাবে টেনিস খেলতে যেতাম। রাস্তাঘাট ছিল একেবারে ফাঁকা। শুধু সাউথ ক্লাব নয়, বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলে করে শহরের একাধিক জায়গা চষে বেড়াতাম। এর ফলে যেমন গলি ও ছোট এলাকার সম্পর্কে জানতে পারতাম, তেমনই পায়ের পেশীর জোর বাড়ত। যা টেনিস খেলতে আরও সাহায্য করেছিল।

আমার ছোটবেলা সাউথ ক্লাবকে ঘিরে ছিল। সেই সময় সাউথ ক্লাবে কোচিং করানো কিংবা প্রশিক্ষণ নেওয়া এত সহজ ছিল না। দিলিপ বসুর তত্ত্বাবধানে অনেক বড় খেলোয়াড় উঠে এসেছেন। সেই দিক থেকে দেখতে হলে বর্তমান সময় টাকা খরচ করলেই সাউথ ক্লাবে টেনিস প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়। ফলে সংস্থার মান অনেক কমে গিয়েছে। আর আখতার আলি চলে যাওয়ার পর মান আরও নেমে গিয়েছে।

Advertisement

কলকাতার আর একটা ব্যাপার নিয়ে আমি বরাবরের মতো রোমাঞ্চিত। সেটা হল খাওয়া-দাওয়া। এই শহর শুধু ফুটবলের মক্কা নয়। আমাদের শহর খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু ‘মক্কা’। এখানে সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত হরেক রকমের খাবার পাওয়া যায়। কোটিপতি মানুষের জন্য যেমন পাঁচতারা হোটেল আছে, তেমনই দিন আনি দিন খাই মানুষদের জন্য রয়েছে সস্তার খাবার। এটাই কিন্তু আমাদের শহরকে বাঁচিয়ে রেখেছে।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি বিদেশে যাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছি। তবে কোনও দিন এই শহর ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস আমার মায়ের দাদু। এই শহর থেকে আমার জীবন শুরু হয়েছে। এখানেই শেষ দিন পর্যন্ত থাকব।

Advertisement