Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২৬ এপ্রিল ২০২৪ ই-পেপার

Juice Places in Kolkata: শরবত খেতে ইচ্ছে হচ্ছে? ঢুঁ মেরে আসুন কলকাতার বেনিয়াটোলা কিংবা ধর্মতলায়

কলকাতা শহরের মানুষ শুধু পেট ভরাতে নয়, গলা ভেজাতেও বিশেষ পছন্দ করেন। আর তার জন্য অনেক জনপ্রিয় জায়গা রয়েছে আমাদের আশেপাশেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৩৭

বাঙালির ভোজনবিলাসের ইতিহাসে পানীয়ের স্থান বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশের পানীয় তো বটেই, দেশের বাইরে থেকে আসা চা কফিও আমরা যে উৎসাহের সঙ্গে আপন করে নিয়েছি, তা থেকে বোঝা যায় কলকাতা শহরের মানুষ শুধু পেট ভরাতে নয়, গলা ভেজাতেও বিশেষ পছন্দ করে, এখনও। তবে এই শখ পূরণের জন্য শহরে গড়ে ওঠা নামী সংস্থার দামি দোকান পর্যন্ত পৌঁছতে পকেট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। অথচ কলকাতার নানান প্রান্তেই রয়েছে অল্প ব্যয়ে সুস্বাদু শরবত বা লস্যি খাবার অনেক জনপ্রিয় জায়গা।


প্যারামাউন্ট
কলকাতার প্রাচীনতম এবং কিংবদন্তি শরবতের দোকানগুলির মধ্যে কলেজ স্ট্রিটের এই বিখ্যাত দোকানের নাম উঠে আসবে সবার আগে। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কলকাতার মানুষের কাছে এই দোকানের শরবত আজও বিশেষ পছন্দের। ডাবের মালাই শরবত খেতে এখানে রোজ প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। চারপাশের কলেজের ছাত্রছাত্রী তো বটেই, বইপাড়ায় আসা প্রায় কেউই অন্তত এক বার প্যারামাউন্টে ঢুঁ না মেরে ফিরে যেতে পারেন না। কখনও কখনও ভিড়ের জন্য স্থান সংকুলান করা প্রায় অসম্ভবই হয়ে পড়ে এখানে। রুপোলি পর্দার বহু তারকা, বিখ্যাত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি-সাহিত্যিকদের বিশেষ পছন্দের জায়গা এটি।

Advertisement
প্যারামাউন্ট কিংবদন্তি শরবতের দোকান

প্যারামাউন্ট কিংবদন্তি শরবতের দোকান


শিব-শক্তি শরবত শপ
উত্তর কলকাতার মানুষ লস্যি বা সুস্বাদু শরবত খেতে চাইলে বাদ দিতে পারবেন না বেনিয়াটোলার কাছাকাছি শিব-শক্তি শরবত শপকে। কুমোরটুলির পাশেই এই দোকানে চাকচিক্য বিশেষ না থাকলেও এখানে এলে ইতিহাসের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ের মিশেল পাবেন আপনি। অনেক রকমের শরবত পাওয়া যায় এই দোকানে। এখানকার লস্যি এক গ্লাস খেয়ে যেন মন ভরতে চায় না। এই দোকানে কিন্তু পানীয় নিয়ে করা হয় কিছু কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। দোলের সময় সিদ্ধির শরবতের জন্য অবাঙালি মানুষজনের ভিড়ও এখানে হয় দেখার মতো।

চকোলটে চা
ভবানী সিনেমার সামনে আপনি পেয়ে যেতে পারেন মুখরোচক পানীয়ের একটি নামহীন দোকান। নাম না থাকলেও স্বাদের দৌলতে অল্প দিনেই সুনাম ছড়িয়েছে এই বিক্রেতার। চকলেট মিল্কশেক তো বটেই, এ ছাড়াও এখানে পাবেন সুস্বাদু চা এবং কফি। চকোলেট দেওয়া নানা ধরনের চা এবং কফির টানে এই দোকানে ভিড় উপচে পড়ে। পাবেন চকোলেট লস্যিও। এক সময় রবীন্দ্র সরোবর মেট্রো স্টেশনের কাছে শুরু হলেও পরে এই দোকানটি স্থান পরিবর্তন করেছে। পারিপাট্যের দিক থেকে জৌলুস না থাকলেও স্বাদে কলকাতার যে কোনও নামী সংস্থার পানীয়র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে এই দোকানের শরবত।

চকোলটে চা

চকোলটে চা


লস্যি পয়েন্ট
কলকাতার একেবারে কেন্দ্রে অবস্থিত ধর্মতলায় একটি জনপ্রিয় শরবত বা লস্যির দোকান হল লস্যি পয়েন্ট। আশেপাশের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের পথেই এটি চোখে পর্বে আপনার। যদিও এখানে পরপর বেশ কয়েকটি একই রকম দোকান রয়েছে। আমের শরবত এবং মালাই শরবত এখানকার বিশেষত্ব। গরমকালে এখানে মানুষের ভিড় সামলাতে হিমসিম খেয়ে যান কর্মচারীরা সবাই। পানীয়ের উপরে ছড়িয়ে থাকা কাজু, কিশমিশ আর ক্ষীর আরও লোভনীয় করে তোলে শরবতটিকে। সারা বছরই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই দোকানে মিলবে গলা ভেজানোর জন্য পছন্দসই শরবত।


শিব আশ্রম শরবত এবং লস্যি
মাত্র দশ বছর আগে শুরু হওয়া উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটের এই দোকানটি আজ কলকাতার শরবতপ্রেমী মানুষের কাছে পরিচিত একটি নাম। সিরাপ, লস্যি, ঠাণ্ডাই-এর খুচরো বিক্রেতা হিসেবে এই দোকানের কথা অনেকেই জানেন। তা ছাড়াও সুস্বাদু লস্যি, বাদামের শরবত, আমের শরবত, কেশর মালাই শরবত এখানে বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঝাঁ চকচকে অন্দরসজ্জা বা শীততাপ নিয়ন্ত্রণের বন্দোবস্ত না থাকলেও কেবলমাত্র স্বাদের খ্যাতি দিয়েই কলকাতাবাসীর মন জয় করেছে এই দোকানের পানীয়। গরমের দিনে দুপুরবেলা এখানকার মানুষ তাই গলা ভেজাতে নিয়মিতই চলে আসেন এই দোকানে।

পানীয়ের উপরে ছড়িয়ে থাকা কাজু, কিশমিশ আর ক্ষীর আরও লোভনীয় করে তোলে শরবতটিকে

পানীয়ের উপরে ছড়িয়ে থাকা কাজু, কিশমিশ আর ক্ষীর আরও লোভনীয় করে তোলে শরবতটিকে


দিল্লি আইসক্রিম শেক এবং জুস কর্নার
তালতলার কাছেই জানবাজারে রয়েছে শরবত আর লস্যির আরেকটি বিখ্যাত দোকান। দিল্লি আইসক্রিম শেক এবং জুস কর্নার নামের এই দোকানে বিবিধ মিল্কশেক, শরবত আর ফলের রস পাওয়া যায়। এঁরা শরবতে ব্যবহার করেন প্রায় ভেজালহীন সিরাপ। কাজু কিশমিশ দেওয়া খেজুরের মিল্কশেক, কিটক্যাট শেক, পুদিনার শরবত ইত্যাদি খেতে অনেক জায়গার মানুষ নিত্য ভিড় জমান এই দোকানে। সকাল সাড়ে আটটা থেকে রাত ১১:৩০টা পর্যন্ত অক্লান্ত ভাবে এখানকার কর্মচারিরা গ্রাহকদের সন্তুষ্ট করার জন্য বানাতে থাকেন লোভনীয় সব পানীয়।

Advertisement