Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২৩ এপ্রিল ২০২৪ ই-পেপার

Street food of Kolkata: ডালহৌসি হোক কিংবা ডেকার্স লেন, জিভে জল আনা খাবার রয়েছে কলকাতার অলিগলিতে

কলকাতা শহরের অলিতেগলিতে ভোজনবিলাসীদের জন্য নানা তীর্থস্থান গড়ে উঠেছে। বহু ঐতিহ্যে সম্পন্ন হয়ে যা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১০:৩৯

ডেকার্স লেন কলকাতা শহরের খাদ্যবিলাসীদের স্বর্গ

কলকাতা শহরের অলিতেগলিতে ভোজনবিলাসীদের জন্য নানা তীর্থস্থান গ়ড়ে উঠেছে যুগ যুগ ধরে। কলকাতার স্ট্রিটফুডের এই সব দোকানের সুখ্যাতি ছড়িয়ে প়ড়েছে বিশ্বজু়ড়ে। সব বয়সের মানুষ এই জায়গায় নিয়মিত পছন্দসই খাবার চেখে দেখেন।


ডেকার্স লেন
দুই শতাব্দী আগে, জনৈক ফিলিপ মাইনার ডেকার্স এখানে খাবার নিয়ে তার নাবিক বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে আসতেন। এবং তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে, এই জায়গাটির নামকরণ করা হয়েছিল— ডেকার্স লেন। এই অঞ্চল কলকাতা শহরের খাদ্যবিলাসীদের স্বর্গ। কলকাতার সেরা স্ট্রিটফুডের সন্ধানে ভ্রমণকারী এবং ভোজনরসিকদের নিত্য আনাগোনা করতে দেখা যায় এই এলাকায়। আমিষ এবং নিরামিষ দুই ধরনের খাবারই মেলে এখানে। এবং তা একেবারেই পকেটে টান ফেলবে না আপনার। চাইনিজ , কন্টিনেন্টাল এবং ভারতীয়— যে কোনও স্বাদের খাবারেই মধ্যাহ্নভোজ বা জলখাবার সেরে ফেলতে পারেন এখানে।

টেরিটি বাজার
কলকাতা শহর তার চিনা জনসংখ্যার জন্য উল্লেখযোগ্য। আসলে এই শহর ইন্দো-চিনা খাবারের জন্মস্থান, এক ধরনের রান্না যা ভারতীয় এবং চাইনিজ উভয় স্বাদকে মিশ্রিত করে। এবং এই ধরনের খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য টেরিটি বাজার হল আদর্শ। সকালবেলা এখানে প্রবেশ করার পরে, আপনি বাওস, মোমোস এবং মাছের বলের মতো মুখরোচক খাবার বিক্রি করছেন এমন একাধিক বিক্রেতাকে দেখতে পাবেন। বিশেষ করে রেড মিট বাও-এর স্বাদ আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে আপনার স্মৃতিতে। চিকেন মোমো ছাড়াও নোনতা মাছের মোমো এখানে বিশেষ জনপ্রিয়। তবে অনেক রকম খাবার চেখে দেখার জন্য সকাল সকাল এখানে পদার্পণ করা প্রয়োজন।

Advertisement
অনেক রকম খাবার চেখে দেখার জন্য সকাল সকাল পদার্পণ করা প্রয়োজন।

অনেক রকম খাবার চেখে দেখার জন্য সকাল সকাল পদার্পণ করা প্রয়োজন।


ডালহৌসি স্কোয়্যার
অফিসপাড়া হিসেবে পরিচিত ডালহৌসি এলাকা লুচি ও আলুরদমের জন্য জনপ্রিয়। শহরের প্রধান ব্যবসায়িক কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি এই ডালহৌসি স্কোয়্যার বা বিবাদী বাগে রোজই অনেক মানুষজন দুপুরের খাবারের জন্য রাস্তার খাবারের স্টলে ভিড় করেন। সেরা খাবারের বিক্রেতারা আবার বসেন ফেয়ার্লি প্লেসের কাছে, রাইটার্স বিল্ডিংয়ের পিছনে এবং ব্যাঙ্কশাল কোর্টের কাছেই। আপনি এখানে লুচি, কচুরি এবং আলুদোম, ছোলার ডাল, ভাত এবং মাছের তরকারি থেকে শুরু করে মুঘলাই, পাঞ্জাবি চাইনিজ এবং অবিশ্বাস্য কমে দামে বিরিয়ানি পর্যন্ত খেতে পারেন।

সেরা খাবারের বিক্রেতারা আবার বসেন ফেয়ার্লি প্লেসের কাছে

সেরা খাবারের বিক্রেতারা আবার বসেন ফেয়ার্লি প্লেসের কাছে


ক্যাম্যাক স্ট্রিট
ক্যাম্যাক স্ট্রিট অঞ্চলে একাধিক ফাইন-ডাইনিং রেস্তঁরা, নাইটক্লাব এবং বিখ্যাত বুটিকের ঠিকানা হওয়ার কারণে স্ট্রিট ফুডের জন্য খ্যাতি কিছুটা কম। কিন্তু, আপনি যদি ক্যামাক স্ট্রিটের বরদান মার্কেটের আশেপাশে গিয়ে থাকেন, তা হলে দেখতে পারবেন রাস্তার অনেকটা অংশে রয়েছে মুখরোচক খাবারের বিভিন্ন স্টল। মোমো, ফুচকা, ধোসা, রোল তো বটেই— এ ছাড়াও এই চত্বরে মিলবে বিভিন্ন রকমের আইসক্রিম, পাওভাজি, ক্যান্ডি কিংবা পাপড়ি চাট। পাশেই রয়েছে লরেটো, সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে দুপুরের পর থেকে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় জমতে থাকে এখানে। এ ছাড়া অফিসপাড়ার অনেক মানুষই নিয়মিত এখানে মনপসন্দ খাবার খেতে আসেন।

যাদবপুরের এইট বি
যাদবপুর কলকাতার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত এবং বিখ্যাত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সুপরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখানকার এইট বি মোড়ে অনেক খাবারের দোকান সব বয়সের মানুষের মন ভুলিয়ে রাখে। পাশের জনপ্রিয় বানজারা রেস্তঁরা হোক বা দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের দোকান, এই অঞ্চলে ভিড় জমে থাকে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। এখানকার বিরিয়ানি ক্রমশ সারা কলকাতায় জনপ্রিয়তা পচ্ছে। এগরোলের আলু মিশিয়ে এই এলাকায় বিভিন্ন বিক্রেতা করেছেন মজাদার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বা বাস-অটো স্ট্যান্ডের যাত্রীরা তো বটেই, স্টেশন থেকে নেমে মুখরোচক খাবারের সন্ধানে নিয়মিতই এইট বি মোড়ে এসে পৌঁছন আরও অনেক মানুষ। আড্ডা মারার জন্য তাঁরা কখনও কখনও এইটি-বি মার্কেটের উপরে কফি হাউসেও বসেন বইকি।

Advertisement