Follow us on

Download the latest Anandabazar app

© 2021 ABP Pvt. Ltd.

Advertisement

২৭ জুলাই ২০২৪ ই-পেপার

Morning walk: ভোরবেলা কোথায় হাঁটতে যাবেন ভাবছেন? কলকাতায় রয়েছে একাধিক মনোরম জায়গা

বাইরের পৃথিবীতে বাঙালির অলস আর নাদুসনুদুস ছবি মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছিল। কিন্তু অতিমারি শরীরচর্চা সম্পর্কে আমাদের মনোভাব আমূল বদলে দিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:৩৩

শহরের বুকের উপর ভোরবেলা স্মরণীয় সময় কাটানোর জন্য ময়দানের জুড়ি মেলা ভার

স্বাস্থ্যই সম্পদ— কথাটা আমরা ছোটবেলা থেকে অভিভাবকদের মুখে শুনে এলেও গুরুত্ব দিইনি অনেকেই। ফলে বাইরের পৃথিবীতে বাঙালিদের অলস আর নাদুসনুদুস একটা চেহারা মানুষের মনে গেঁথে গিয়েছিল। কিন্তু এই অতিমারি বিশেষ করে শরীরচর্চা সম্পর্কে আমাদের মনোভাব আমূল বদলে দিয়েছে। কলকাতার মানুষ এখন জানে যে শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত কিছু ব্যায়াম প্রয়োজন। প্রয়োজন সকালের হাঁটাহাটিও। সকালবেলার তাজা অক্সিজেন ফুসফুসকে রাখবে চাঙ্গা এবং শরীরেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। কিন্তু বিশাল এই মহানগরে জিম ছাড়া খোলা আকাশের তলায় শরীরচর্চা, জগিং বা মর্নিং ওয়াক করার জায়গা আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের। অথচ খাস কলকাতা শহরেই রয়েছে এমন একাধিক জায়গা যেখানে আপনি দিনের শুরুতেই কিছু ক্ষণ কাটিয়ে আসতে পারেন কিংবা করতে পারেন শরীরচর্চাও।


সেন্ট্রাল পার্ক
বনবিতান নামে পরিচিত সল্টলেকের সেক্টর তিনের সেন্ট্রাল পার্ক এই প্রয়োজনে হতে পারে আপনার গন্তব্য। বিধাননগরের করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের পাশে অবস্থিত এই উদ্যানে রয়েছে বিশাল হ্রদ এবং মনোরম পরিবেশ। সকালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা এটি। এখানকার হ্রদে পায়রা, হাঁস এবং আরও নানান ধরনের পাখি মানুষজনকে আকৃষ্ট করে। তা ছাড়া সুন্দর গোলাপের বাগান, আকর্ষণীয় প্রজাপতি বাগান এবং একটি শৈল্পিক প্যাগোডা, সেন্ট্রাল পার্কটিকে বিশেষ দ্রষ্টব্য করে তুলেছে।

এলিয়ট পার্ক
কলকাতা শহরের একবারে কেন্দ্রের এলিয়ট পার্ক আশেপাশের সব জগারদের জন্য স্বর্গ। সকালে হাঁটার জন্যও এ শহরের সেরা পার্কগুলির মধ্যে একটি। এই পার্কটি স্বাস্থ্য সচেতনদের বিশেষ পছন্দের কারণ এখানে দেড় কিলোমিটার বিস্তৃত দৌড়নোর জায়গা আলাদাভাবে রয়েছে। সকাল ছটা থেকেই আপনি এই পার্কে আসতে পারেন মর্নিং ওয়াকের জন্য। পার্কটি জলের ফোয়ারা, একটি ছোট পুকুর, দোলনা এবং বিভিন্ন ধরণের ফুল নিয়ে সজ্জিত।

Advertisement
কলকাতার মানুষ এখন জানে যে শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত প্রয়োজন সকালের হাঁটাহাটি

কলকাতার মানুষ এখন জানে যে শরীর ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত প্রয়োজন সকালের হাঁটাহাটি


মিলেনিয়াম পার্ক
মিলেনিয়াম পার্ক কলকাতা রিভারসাইড বিউটিফিকেশন প্রজেক্টের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি হুগলি নদী বরাবর আড়াই কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে রয়েছে। ভোরে হাঁটতে ভালবাসেন এমন অনেকেই ডিজাইন করা ল্যান্ডস্কেপ, সুন্দর ভাস্কর্যের মাঝে পরিষ্কার ঘাসে হাঁটা পছন্দ করেন। এই দিক থেকে মিলেনিয়াম পার্ক হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। বিবাদি বাগের কাছাকাছি এই পার্ক থেকে আপনি হাওড়া ব্রিজের আদল পরিষ্কার দেখতে পাবেন।

রবীন্দ্র সরোবর
দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর হ্রদের চারপাশের পার্কটি কলকাতা শহরের বেশির ভাগ মর্নিং ওয়াকার, জগার এবং ব্যায়াম উত্সাহীদের জন্য একটি বিশেষ গন্তব্য। ঘাসের উপর পায়ে হেঁটে যদি দিন শুরু করতে চান, এই প্রশস্ত পার্কটি হতে পারে তার উপযুক্ত জায়গা। সরোবরের প্রকৃতি এবং মনোরম পরিবেশ শহুরে জীবনের ব্যস্ততা থেকে প্রয়োজনীয় অবকাশ দেয়। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা রবীন্দ্র সরোবরের আশেপাশের উদ্যানে আপনি অনেকটা অক্সিজেন ফুসফুসে ভরে আনতে পারবেন। শরীরের পাশাপাশি মনও হবে তরতাজা।

ময়দান
কলকাতার মানুষজন যাঁরা নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন, ময়দান তাঁদের স্বর্গ। শহরের বুকের উপর ভোরবেলা স্মরণীয় সময় কাটানোর জন্য ময়দানের জুড়ি মেলা ভার। প্রতি রবিবারই শহর তথা শহরতলি থেকেও অনেক ফটোগ্রাফার, পাখি পর্যবেক্ষক, উদ্ভিদবিদ, ক্রীড়া অনুরাগী, ইতিহাসবিদ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজাররা ময়দানে নিজের নিজের কাজের রসদ সংগ্রহ করতে আসেন। কিন্তু তা ছাড়াও নিছক শরীরচর্চা বা অল্প হাঁটাহাঁটি করে সারা দিনের কাজ শুরু করার জন্য ময়দান আপনার গন্তব্য হতেই পারে। সন্ধ্যার পর প্রশাসনের তরফ থেকে ময়দানে না থাকার পরামর্শ দিলেও সূর্যোদয়ের সময় ময়দানের সৌন্দর্য উপেক্ষা করা সম্ভব না।

Advertisement