নকশী কাঁথা
বাংলার যত হস্তশিল্প জিআই ট্যাগ পেয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নকশী কাঁথা। ২০০৮ সালে এই শিল্পকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। বীরভূমের অনেক অঞ্চলে এই ধরনের কাজ দেখা যায়। তবে সাধারণ কাঁথার চেয়ে এই কারুকার্য অনেকটা বেশি জটিল। সূক্ষ্ম সুতোর কাজে নানা ধরনের গল্প ফুটে ওঠে এক একটা কাঁথায়। ফুল-পাতা-পশু-পাখি ছাড়াও নানা ধরনের লোকগল্প দেখা যায় এই কাজে। কলকাতা শহরে শীতের সময়ে অনেকগুলি হস্তশিল্পের মেলা বসে। সেখানে খুঁজলে পাওয়া যায় এ ধরনের কাঁথা।
বাঁকুড়ার টেরাকোটা
বাঁকুড়ার টেরাকোটা কাজ সারা দেশে বিখ্যাত। যাঁরা এ জেলায় ঘুরতে যান, ঘর সাজানোর জন্য বা কাউকে উপহার দেওয়ার জন্য বাঁকুড়ার ঘোড়া কিনে আনেন। এই ধরনের ঘোড়া অবশ্য আপনি দক্ষিণাপণ কিংবা উত্তরাপণের অনেক দোকানে পেয়ে যাবেন। ২০১৮ সালে এই শিল্প জিআই ট্যাগ পেয়েছিল।
ডোকরার কাজ
ডোকরার গয়না বেশ কয়েক বছর ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ডোকরার নানা রকম মূর্তি বা দেওয়াল-শিল্পও ঘর সাজানোর জন্য অনেকেরই প্রথম পছন্দ। বিভিন্ন মেলা, নিউ মার্কেটের নানা উপহারের দোকান, বুটিক— শহরের অনেক জায়গাতেই এই জিনিস সহজলভ্য।
পটচিত্র
পিংলা বা পুরুলিয়ার পটচিত্র বিশ্বখ্যাত। ছবির মাধ্যমে লম্বা কাগজে গল্প বলে এই শিল্প। নানা লোককথা কিংবা পুরাণের গল্প ফুটে ওঠে পটশিল্পীদের তুলীতে। বেশির ভাগ প্রাকৃতিক রং ব্যবহার হয়। কাগজ ছাড়াও এই ধরনের ছবি এখন পোশাক কিংবা বাসনপত্রেও আঁকা হয় সাজিয়ে রাখার জন্য। পটচিত্রের চাহিদা রয়েছে দেশের বাইরেও। বইমেলা, হস্তশিল্প মেলা কিংবা আরও সাধারণ মেলাতেও এই শিল্পীরা এসে তাঁদের কাজের পসরা মেলে বসেন।
পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ
ছৌনাচের সুখ্যাতি দেশজুড়ে। নৃতশিল্পীরা যে ব়়ড় বড় মুখোশ পরে নাচেন, তা-ও জিআই-প্রাপ্ত। অনেকেই এই অভিনব মুখোশ দিয়ে ঘর সাজাতে ভালবাসেন। পাওয়া যায় শহরের নানা হস্তশিল্প মেলায়। জিআই-প্রাপ্ত মুখোশের তালিকায় অবশ্য রয়েছে কুশমন্ডির কাঠের মুখোশও।