জানলার সামনে ছোট্ট টেবিল আর চেয়ার। বাড়ির খুদের পড়ার জায়গা। সেখানে খাবারের থালা রাখলেও বিরাট বকাঝকা! পড়ার টেবিলে খাবারের থালা!
টেবিল নিয়ে এমন খুঁতখুঁতানির দিন গিয়েছে। এখনকার কলকাতার ফ্ল্যাট কিংবা বাড়িতে পড়ার আর খাওয়ার টেবিল ছাড়াও অনেক রকমের টেবিলই দেখতে পাওয়া যায়। টেবিলগুলির উপযোগও বিভিন্ন রকমের। প্রতিটি ঘরে এখন আলাদা আলাদা টেবিল রাখা ভীষণই দরকার। এ বার আমরা জেনে নেব, কোন ঘরের টেবিলকে কী ভাবে সাজালে আপনার ঘরের ও গোটা বাড়ির সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।
প্রথমত বলা ভাল, খাওয়ার ঘরের টেবিলের কথা। খাওয়ার ঘরের টেবিলে বেশি কিছু না রাখলেই হয়। টেবিলটির মাঝে একটি চামচের সেট এবং ফলের সাজিতেই ফুটে ওঠে তার রূপ। আপনি চাইলে টেবিলের উপর একটি সুন্দর কভারের ব্যবস্থা করতে পারেন। এর ফলে টেবিলের উপর কোনও রকম দাগ পড়ার আশঙ্কা থাকে না। যদি টেবিলটি কাঠের তৈরি হয়ে থাকে, তবে কভারের প্রয়োজন সচরাচর হয় না।
Advertisement

এরপ র চলে আসি বৈঠকখানার টেবিলের কথায়। বৈঠকখানার মাঝে সাধারণত চা-এর জন্যেই টেবিল রাখা হয়ে থাকে। সেই টেবিলে দু'একটা ম্যাগাজিন বা খবরের কাগজ রেখে দিলে মন্দ দেখায় না। তবে আপনাকে তা সাজিয়েই রাখতে হবে। অগোছালো ভাবে রাখলে আপনার ঘরের সৌন্দর্যের ব্যাঘাত ঘটবে। বৈঠকখানার কোনাতেও রেখে দিতে পারেন একটি ছোট টেবিল। তাতে রেখে দিন একটি ছোট গাছের চারা বা বনসাই। তাতে ঘরের পরিবেশটাই বদলে যাবে।
পড়ার টেবিলে বইপত্র এবং পেনদানি ছাড়া অন্য কিছু রাখলে ব্যাপারটা মানানসই হবে না খুব একটা। তবে একদম ছোট একটি টবসহ গাছ সেখানেও রাখা যেতে পারে।
শোওয়ার ঘরে বিছানার দু'ধারে দু'টি ছোট টেবিল থাকলে মন্দ হয় না। তার উপরে জলের বোতল, মোবাইল ফোন এসবও গুছিয়ে রাখা যেতে পারে। যাতে ঘুমের আগে বা পরে হাত বাড়ালেই সেগুলি পাওয়া যায়।