সহজে বানিয়ে নিন এই মিষ্টিগুলি।
ভোজন রসিক বাঙালির রসনায় মিষ্টির গল্প জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে। আর পুজোর মরশুমে তো কথাই নেই! পুজোয় মিষ্টি খাওয়ার জন্য খুঁজতে হবে না অন্য কোনও অজুহাতও।
রসগোল্লা, সন্দেশ তো আছেই। কিন্তু পুজোয় কিছু অন্যরকম ট্রাই করার তালিকা থেকে কেনই বা বাদ যায় মিষ্টির কথা? ঘরেই বানিয়ে নিন না অসাধারণ স্বাদের মিষ্টি!
আপনাদের ষষ্ঠীর সকাল হোক বা দশমীর রাত, নিজের হাতে বানিয়ে নিন মিষ্টি মুখের এই রেসিপিগুলি।
আরও পড়ুন: পালং শাক আর কিমার কেরামতিতে বিরিয়ানি এখানে কথা বলে
ছানার পুডিং
ছানার সন্দেশ ভালবাসেন? আবার পুডিংয়েও মন টানে? তা হলে বানিয়ে নিন এই পুডিংয়ের রেসিপি।
উপকরণ:
দোকানের ছানা: ২ কাপ
ময়দা: ২ টেবিল চামচ
চিনি: ১ কাপ
ডিম: ৫টি
বেকিং পাউডার: ১ চা চামচ
তেল: ২ কাপ
মাখন: অল্প
প্রণালী:
চিনি, ডিম ও তেল বিটারে বিট করে নিন ভাল ভাবে। এরপর এতে ছানা, ময়দা ও বেকিং পাউডার মেশান। মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে একটি আভেন প্রুফ পাত্রে হালকা মাখন লাগিয়ে তাতে মিশ্রণটি সমান ভাবে ঢেলে দিন। পাত্রের মুখটি রূপোলি মোড়ক দিয়ে বন্ধ করে দিন। ১৮০ ডিগ্রি প্রি-হিটে ২৫ মিনিট বেক করুন। এরপর বের করে উপরে চেরি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: পুজোর দিনে স্বাদবদলের চিকেন-মটন
ডিমের পান্তুয়া
পান্তুয়ার স্বাদে ভোলেননি এরকম বাঙালি খুঁজে পাওয়া দায়। তাহলে সেই পান্তুয়াতেই যোগ করুন না নতুন স্বাদের মহিমা!
উপকরণ:
গুঁড়ো দুধ: ৫০০ গ্রাম
ডিম: ১টি
বেকিং পাউডার: ১/২ চা চামচ
ঘি: ১ চামচ
সাদা তেল: পরিমাণ মতো ভাজার জন্য
রসের জন্য:
চিনি: ২ কাপ
বড় এলাচ: পরিমাণ মতো
লেবুর রস: একটা গোটা লেবু অর্ধেক করে নেওয়া
জাফরান: সামান্য
জল: পরিমাণ মতো
প্রণালী:
ঘি ও সাদা তেল ছাড়া বাকি সমস্ত উপকরণ এক সঙ্গে মেখে নিয়ে লম্বা করে গড়ে নিন। ফ্রাইং প্যানে ঘি আর সাদা তেল দিয়ে তাতে ঠান্ডা অবস্থায় পান্তুয়া ছেড়ে দিন। এইবার প্যানটি গ্যাস আভেনে বসিয়ে লাল করে ভেজে তুলুন। অন্য দিকে কড়াইতে জল বসিয়ে তাতে চিনি দিয়ে রস তৈরি করুন। কয়েকটি বড় এলাচ মেশান। ফুটতে থাকলে লেবুর রস ও জাফরান দিন। এর মধ্যে ভেজে রাখা পান্তুয়াগুলি ডুবিয়ে দিন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।