ছানার ডালনা, মোচার ডালনা এ সব তো আকছার বাঙালি বাড়িতে হয়, ফুলকপির রোস্ট, বা রসাও নিশ্চয় কখন না কখনও খেয়েছেন। কিন্তু ফুলকপির ডালনা খেয়েছেন কখনও? না খেয়ে থাকলে এই অষ্টমীর সকালে বানিয়ে ফেলুন এই লোভনীয় পদ। রইল রেসিপি।
রান্নার করার জন্য কী কী লাগবে চলুন আগে জেনে নেওয়া যাক। ফুলকপির ডালনা বানাতে লাগবে- জিরে, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, আদা বাটা, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন, মিষ্টি, গরম মশলা, ঘি, কাঁচা লঙ্কা, ফুলকপি ৫০০, কড়াইশুঁটি ৫০, আলু, টমেটো, সর্ষের তেল।
এ বার আসা যাক রন্ধন প্রণালীতে। এটার জন্য সবার আগে গ্যাস ওভেনে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে ফুলকপি দিয়ে হালকা আঁচে হালকা করে ভেজে নিন। ফুলকপি ভাজা হলে সেটা সরিয়ে রাখুন।
এ বার আবারও কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিন। তার পর তাতে একে একে দিয়ে দিন শুকনো লঙ্কা এবং তেজপাতা। একটু নেড়েচেড়ে গোটা গরম মশলা অর্থাৎ লবঙ্গ, এলাচ এবং দারচিনি দিয়ে দিন। দিয়ে দিন জিরেও।
হালকা নেড়েচেড়ে তাতে যোগ করুন আলু। ঢাকা দিয়ে ঢিমে আঁচে কিছু ক্ষণ সেদ্ধ হতে দিন আলুটাকে।
তত ক্ষণে একটা পাত্রে লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, আদা বাটা নিয়ে নিন। সঙ্গে যোগ করুন সামান্য জল। এ বার গোটাটা একটা ভাল মিশ্রণ বানিয়ে নিন গুলে।
ওদিকে ঢাকা দিয়ে রাখা আলু ২-৩ মিনিট ঢিমে আঁচে সেদ্ধ হলে ঢাকনা খুলে তাতে যোগ করুন এই মিশ্রণটি। তত ক্ষণ কষতে থাকুন যত ক্ষণ না জল টেনে নিচ্ছে।
জল একদম টেনে গেলে তাতে স্বাদ মতো নুন দিন। দিয়ে দিন চিনিও। এ বার এটাকে ভাল করে মেশান। একটু জল দিয়ে নেড়ে নিন।
এ বার কড়াইয়ে যোগ করুন কেটে রাখা টমেটো। দিয়ে দিন গোটা কাঁচা লঙ্কাগুলিও। এ বার আবারও ঢিমে আঁচে ভাল করে কষতে থাকুন যত ক্ষণ না তেল ছাড়ছে রান্না থেকে।
মিনিট চারেক নাড়াচাড়া করার পর যখন টমেটোগুলি গলে যাবে তাতে দিয়ে দিন আগে থেকে ধুয়ে রাখা কড়াইশুঁটি। দিয়ে দিন ভেজে রাখা ফুলকপিগুলিও। একটু নেড়ে ঢাকা দিয়ে দিন।
আঁচ কমিয়ে এ বার মিনিট তিনেক রান্না করুন। তত ক্ষণে আরেকটি পাত্রে একটু জল গরম করে নিন।
মিনিট তিনেক পর কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে তাতে ওই গরম জল দিয়ে দিন। ফুটতে দিন অন্তত মিনিট দশেক। এ বার সব শেষে তাতে যোগ করুন গরম মশলা এবং ঘি। ব্যস, তৈরি আপনার ফুলকপির ডালনা। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।