সপ্তমীতে বাড়িতে অতিথিদের আসার কথা, এ দিকে আড্ডায় ছেদ না ফেলে তড়িঘড়ি কিছু বানাতে চাইছেন? তা হলে বানাতে পারেন হিং মুর্গ। এই পদ যেমন চটজলদি বানানো যাবে, তেমনই স্বাদ বদলও হবে পুরোদস্তুর। সহজ এবং চেনা উপকরণে অচেনা মুরগির এই পদ বানিয়ে চমকে দিন সকলকে।
হিং মুর্গ বানাতে কী কী লাগবে, চলুন সেটাই আগে জেনে নেওয়া যাক। ঘি, সাদা তেল, লবঙ্গ, গোলমরিচ, দারচিনি, তেজপাতা, এলাচ, পেঁয়াজ কুচি, মাংস, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, নুন, ধনে পাতা, লঙ্কা বাটা, টোম্যাটো বাটা, হিং, আদা-রসুন বাটা, দই, গরম জল।
সব সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন? কিংবা রান্নাঘরে উঁকি দিয়ে দেখে নিয়েছেন যে সব আছে কি না? বেশ, চলুন এ বার তবে হাতা-খুন্তি নিয়ে আসরে নামা যাক।
সবার আগে ওভেনে একটা কড়াই বসিয়ে তাতে ঘি এবং সাদা তেল দিন। গরম হলে তাতে গোটা গরম মশলা অর্থাৎ ৩-৪টে লবঙ্গ, গোলমরিচ, ১-২টো দারচিনি, ২ টো তেজপাতা, ৩-৪টে এলাচ দিয়ে দিন। হালকা নেড়ে নিয়ে তাতে কুচি করা পেঁয়াজ দিন। বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
এ বার তাতে যোগ করে দিন আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখা মাংস। ভাল করে কষিয়ে নিন সবটা। তার পরে ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে মিনিট চারেক মাংসটা সেদ্ধ হতে দিন।
এ বার ঢাকনা খুলে ওই ঢিমে আঁচে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। তার পরে তাতে এক এক করে দিয়ে দিন সমস্ত মশলা। অর্থাৎ, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো।
দিয়ে দিন পরিমাণ মতো নুন। সবটা ভাল করে মিশিয়ে নিন।
তার পরে তাতে যোগ করুন ৫-৬টা লঙ্কা বাটা। দিয়ে দিন ২-৩টি টোম্যাটো বাটা। আবার ভাল করে কষিয়ে নিন।
বাটিতে রাখা আদা-রসুন বাটায় একটু জল মিশিয়ে তাতে দিয়ে দিন জল ঝরানো দই। এ বার গোটাটা ভাল করে ফেটিয়ে নিন। তার পরে দিয়ে দিন মাংসের মধ্যে। ভাল করে কষান।
আবারও ঢাকা দিয়ে মিনিট পাঁচেক রাখুন। এর পরে ঢাকনা খুলে কষাতে থাকুন। তেল ছাড়লে ২ কাপ ঈষৎ উষ্ণ গরম জল যোগ করুন। আবার ভাল করে নাড়াচাড়া করে ঢাকা দিয়ে দিন।
মিনিট ১৫ ভাল করে সেদ্ধ হতে দিন। ঢাকনা খুলে দেখুন ঝোল ফুটছে কি না। ঝোল টেনে মাখা মাখা হলে উপরে ছড়িয়ে দিন ধনেপাতা কুচি।
সবার শেষে যোগ করুন ১/৪ চামচ হিং। ভাল করে মিশিয়ে গ্যাস বন্ধ করে ঢাকা দিয়ে রাখুন যাতে সেই স্বাদ-গন্ধ মাংসের মধ্যে ঢোকে। \
দুপুরে খাওয়ার সময়ে ভাত বা নান পরোটার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন হিং মুর্গ। সঙ্গে থাক স্যালাড। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।