দুর্গাপুজোর সময়ে বাড়িতে অতিথি আসা মানেই নতুন কিছু রান্না করার তাগিদ। সব সময়ে একই ধরনের পদ রান্না না করে, যদি একদম নতুন কিছু রেঁধে সবাইকে চমকে দিতে চান, তা হলে পটলের এই অনন্য রেসিপিটি আপনার জন্য আদর্শ। রোজকার সাধারণ পটল দিয়েও যে কত অসাধারণ একটি পদ তৈরি করা যায়, এই রেসিপিটি তার প্রমাণ।
পটল পোস্তর উপকরণ: পটল: ১০-১২টি (মাঝারি আকারের), পোস্ত: ৪ চামচ, নারকেল কোরা: ১/৪ কাপ, সর্ষের তেল: ৪-৫ চামচ, কালো জিরা: ১/২ চামচ, শুকনো লঙ্কা: ২টি, হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চামচ, নুন: স্বাদ মতো, চিনি: ১/২ চামচ, কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি ।
প্রস্তুত প্রণালী: ১. পটল তৈরি: প্রথমে পটলগুলি ভাল ভাবে ধুয়ে দুই দিক সামান্য কেটে নিন। এর পরে পটলের গা থেকে অল্প করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এতে পটল দ্রুত সেদ্ধ হবে এবং এর ভিতর পর্যন্ত মশলা প্রবেশ করবে।
২. পোস্ত এবং নারকেল বাটা: পোস্ত এবং নারকেল কোরা একসঙ্গে মিক্সিতে অল্প জল দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। এর সঙ্গে একটি কাঁচা লঙ্কাও বেটে নিতে পারেন।
৩. পটল ভাজা: একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পটলগুলি হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভেজে তুলে রাখুন।
৪. রান্না: ওই একই তেলে কালো জিরা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। সুন্দর গন্ধ বেরোলে পোস্ত, নারকেল এবং লঙ্কার বাটা দিয়ে দিন। হালকা আঁচে মশলা কষাতে থাকুন।
৫. মশলা কষানো: মশলা কষাতে কষাতে হলুদ গুঁড়ো, নুন এবং সামান্য চিনি দিয়ে দিন। প্রয়োজন হলে সামান্য জল দিতে পারেন। যখন মশলা থেকে তেল ছেড়ে দেবে, তখন বুঝতে হবে তা কষানো হয়ে গিয়েছে।
৬. পটল মেশানো: এ বার ভাজা পটলগুলি মশলার মধ্যে দিয়ে দিন এবং ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। সামান্য জল দিয়ে আরও ৫-৭ মিনিট ঢেকে রাখুন।
৭. পরিবেশন: পটল পুরোপুরি সেদ্ধ হয়ে গেলে এবং গ্রেভি ঘন হয়ে এলে উপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেল ছড়িয়ে দিন এবং নামিয়ে নিন। গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন এই অসাধারণ পটল পোস্ত।
এই পদটি দিয়ে আপনি নিশ্চিত ভাবে আপনার অতিথিদের চমকে দিতে পারবেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।