প্রতীকী চিত্র
খাদ্যরসিক বাঙালি মাত্রেই পুজো মানে পেটপুজোয় বিশ্বাসী। শারদীয়ার চারটে দিনে রোজকার রুটিন শিকেয়। রাতভর ঠাকুর দেখার পাশাপাশি বাড়ির খাওয়াদাওয়া ভুলে বাইরের খাবারেই দিন কাটে। বয়স নির্বিশেষে ফুচকা, চাউমিন, রোল, বিরিয়ানি, বার্গার বা আইসক্রিমের দিকেই ঝুঁকে পড়ে মন। কিন্তু এগুলো সবই জাঙ্ক ফুড, যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তার বদলে উৎসবের মরশুমে ওদের পাতে যদি দেওয়া যায় ঘরোয়া অথচ সুস্বাদু কিছু খাবার?
বাচ্চাদের জন্য মুখরোচক কিছু খাবারের রেসিপি রইল এখানে।
চিকেন চিজ় বল:
উপকরণ- চিকেন কিমা, চিজ়, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, প্যাপরিকা পাউডার, চিলি ফ্লেক্স, মাখন, চিনি, সোডা, নুন এবং ভাজার জন্য তেল
প্রণালী:
একটি পাত্রে চিকেন কিমা, চিজ়, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, প্যাপরিকা পাউডার, চিলি ফ্লেক্স, মাখন, চিনি, সোডা, এবং নুন একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মণ্ড তৈরি করুন। তা থেকে ছোট ছোট বলের আকারে গড়ে নিন। এ বার গরম তেলে মাঝারি আঁচে বলগুলো সোনালি রং হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। কড়াই থেকে তুলে এনে কিচেন পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল শুষে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন।
শাহী পনির:
উপকরণ- ফুল ক্রিমযুক্ত পনির, আদা, পোস্ত, চালমগজ, কাজু বাদাম, নুন, হলুদ, কসুরি মেথি, কাঁচালঙ্কা, জিরে গুঁড়ো, চিনি, ঘি, দই, টোম্যাটো পিউরি, গোটা গরম মশলা।
প্রণালী: প্রথমে পনির টুকরো করে কেটে নিন। ঘিয়ে হালকা ভেজে টুকরোগুলো তুলে নিয়ে কিছুটা উষ্ণ গরম জলে রেখে দিন তার পরে। চালমগজ ও কাজু বাদাম পেস্ট তৈরি করে রাখুন। ফেটিয়ে রাখুন দই। এ বার কড়াইতে ঘি গরম করে এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ফোড়ন দিন। এর পরে তাতে টোম্যাটো পিউরি দিয়ে মাঝারি আঁচে কষাতে থাকুন। চালমগজ ও কাজুবাদামের পেস্ট মিশিয়ে আরও কিছু ক্ষণ নাড়ুন। তাতে মশলা (ধনে, জিরে, মরিচ গুঁড়ো) দিয়ে কষান। এর পরে ফেটানো দই ধীরে ধীরে দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ থেকে তেল আলাদা হলে অল্প গরম জল দিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন। এ বার পনির কিউব, নুন ও চিনি দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রান্না করুন। শেষে গরম মশলা, কসুরি মেথি ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। নামানোর আগে ক্রিম/মালাই দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
এই নিরামিষ পদটি পরোটা, লুচি বা পোলাওয়ের সঙ্গে দারুণ লাগবে।
শাহী টুকরা:
উপকরণ: ধার ছাড়ানো পাউরুটি, দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়ো, খোয়া ক্ষীর, ঘি ৪–৫ চামচ, জাফরান (সামান্য গরম দুধে ভিজিয়ে রাখা), বাদাম,কাজু,পেস্তা – কুচি করা, অল্প কিছু কিশমিশ।
প্রণালী: দুধ ঘন হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিন। তাতে চিনি, এলাচ গুঁড়ো, খোয়া ক্ষীর দিয়ে জাফরান মিশিয়ে দিন। নামিয়ে ঠান্ডা করে রাখুন। রাবড়ি তৈরি। এ বার পাউরুটি ত্রিভুজ বা চৌকো টুকরোয় কেটে কড়াইতে ঘি গরম করে সোনালি করে ভেজে নিন। ভাজা পাউরুটি একটি প্লেটে সাজিয়ে তার উপরে গরম রাবড়ি ঢেলে দিন। উপরে কুচোনো বাদাম, পেস্তা ও কিশমিশ ছড়িয়ে দিন। ব্যস! শাহী টুকরা তৈরি! এই সুস্বাদু পদটি হালকা গরম বা ঠান্ডা, দু’ভাবেই পরিবেশন করতে পারেন।
পুজোর দিনগুলোয় ঘরে তৈরি রকমারি খাবারের সুস্বাদে বাচ্চাদের মনও ভরবে। শরীরের সঙ্গেও আপস করতে হবে না!
এই প্রতিবেদনটি “আনন্দ উৎসব” ফিচারের একটি অংশ।