১. দুর্গাপুজো মানেই আড্ডা, হইচই আর টেবিলে ঢালাও পদের সম্ভার। সেই আয়োজনে একঘেয়ে কাবাব, কচুরি, ঘুগনি বাদ দিয়ে যদি উঠে আসে একটু অন্য রকম কিছু, মন্দ কী!
২. বাঙালির ভরসার আলুর দম আর মেক্সিকোর জনপ্রিয় ট্যাকো—এই দু’য়ের মেলবন্ধনে তৈরি হতে পারে পুজোর পার্টির ‘হিট আইটেম’। নাম তার আলুর দম ট্যাকো।
৩. বানানো মোটেও শক্ত নয়। আলুর দম তো ঘরে প্রায়ই হয়। শুধু টর্টিলা বা বাজারি ট্যাকো শেল থাকলেই হল।
৪. সেদ্ধ আলুতে সর্ষের তেল, পেঁয়াজ, আদা-রসুন বাটা, টোম্যাটো বাটা মিশিয়ে তৈরি হবে মশলাদার আলুর দম। সঙ্গে লঙ্কা, হলুদ, ধনে-জিরে আর গরম মশলা।
৫। ৫০০ গ্রাম সেদ্ধ আলুকে ছোট ছোট করে কেটে নিন। কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে পোঁয়াজ কুচি হালকা সোনালি করে ভেজে নিন। তাতে যোগ করুন আদা-রসুন বাটা, টোম্যাটো বাটা এবং কাঁচা লঙ্কা কুচি।
৬। সবটা একটু কষিয়ে নিয়ে হলুদ, জিরে, ধনে ও লাল মরিচ গুঁড়ো দিন। মশলা থেকে সুন্দর গন্ধ বেরোলে তাতে সেদ্ধ আলু এবং স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন।
৭। প্রয়োজন মতো জল ঢেলে ঢাকনা দিয়ে রাখুন মিনিট পাঁচেক। সব শেষে গরম মশলা আর ধনেপাতা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি আলুর দম।
৮। এই খাস বাঙালি আলুর দম যখন ট্যাকো শেলের ভিতরে ঢোকে, তখনই তৈরি হয় ফিউশনের আসল জাদু।
৯. উপরে ছিটিয়ে দেওয়া যায় চাট মশলা, কুচোনো পেঁয়াজ-টোম্যাটো, লঙ্কা আর ঘন দই। সাজিয়ে তুলতে একটু ধনেপাতা। চাইলে চিজও দেওয়া যেতে পারে।
১০. বিকেলে পুজো মণ্ডপ থেকে এক পাক ঘুরে এসে এক প্লেট ট্যাকো—চায়ের সঙ্গে হোক বা ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে, জমে যাবে আড্ডা।
১১. যাঁরা মশলা কম পছন্দ করেন, তাঁরা দই বেশি দিতে পারেন। আবার তীব্র ঝালের জন্য কাঁচা লঙ্কা বাড়িয়ে দিলেই হল।
১২. পুজোর পাঁচ দিন রোজ নতুন কিছু খাওয়ার খিদে থাকে। এই আলুর দমের ট্যাকো সেই খিদে মেটাবে অন্য ভাবে।